শেষ আপডেট: 19th October 2024 10:57
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মেয়ের মৃত্যুর সুবিচার পেতে গত অগস্টেই আরজি করে ছাত্রদের ধর্না মঞ্চের আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন নিহত চিকিৎসকের মা-বাবা। দ্রুত বিচার চেয়ে সেপ্টেম্বরের শুরুতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল-সহ দেশের বিশিষ্টজনদের চিঠি লিখেছিলেন। ফের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখবেন বলে জানালেন তাঁরা।
নিহত চিকিৎসকের মা বলেন, "৯ অগস্ট থেকে ১৯ অক্টোবর। দেখতে দেখতে ৭০ দিন অতিক্রান্ত। আরজি কর কাণ্ডে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। কিন্তু ধর্ষণ-খুনের মামলায় এখনও সঞ্জয় রায় ছাড়া আর কারও টিকি ছুঁতে পারেনি সিবিআই। কিন্তু কারও একার পক্ষে যে ওই ঘটনা ঘটানো সম্ভব নয়, তা তো ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই বলা হয়েছে। তাহলে বাকিরা কোথায় গেল?"
তবে কি সিবিআই তদন্তে আস্থা হারাচ্ছেন? চোখের জল মুছতে মুছতে নির্যাতিতার মা বলছিলেন, "সিবিআইয়ে এখনও আস্থা রয়েছে। তবু মাঝে মধ্যে ধৈর্য্য হারা হয়ে যাচ্ছি! কোলের সন্তানটা আর নেই, তদন্তকারীদের বলব, একটু দ্রুত তদন্ত করুন, অপরাধীরা না ছাড়া পেয়ে যায়!"
নির্যাতিতার বাবা বলেন, 'মেয়ে দুর্নীতির বলি হয়েছে। আরও যারা জড়িত আছে তারাও গ্রেফতার হোক। যেদিন এদের সবার ফাঁসি হবে, সেদিন মনের আশা কিছুটা পূরণ হবে।'
মেয়ের দেহ দেখতে না দিয়ে কেন চার ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হল? কেন প্রথমে আত্মহত্যার কথা বলা হয়েছিল? কর্মস্থলে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুন, অথচ পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ক্রাইম সিন সুরক্ষিত করল না কেন? কাকে আড়াল করা হচ্ছে? সেই প্রভাবশালী কে? ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট, গণধর্ষণ হয়ে থাকতে পারে, অথচ সঞ্জয় ছাড়া আর কাউকে কেন ধরা যাচ্ছে না? এমনই হাজারও প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে নির্যাতিতার বাবা-মায়ের মনে।
বলছেন, "সত্যি মিথ্যা জানি না। তবে কিছু একটা আড়াল করার চেষ্টা যে হয়েছে, সেটা তো সারা দেশ বুঝতে পারছে। শীর্ষ আদালতও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।"
নির্যাতিতার বাবার কথায়, "আর পাঁচটা কেসের সঙ্গে এই কেসটা গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন অনেকে। কিন্তু বুঝতে হবে এটা শুধু রেপ-মার্ডার নয়, নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে কর্মস্থলেই।" তাই দ্রুত বিচার চেয়ে আবার রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখতে চলেছেন তাঁরা। বলছিলেন, "নিজেদের প্রাণের প্রিয় মেয়েটাকে হারিয়েছি। অন্তত খুনীদের যেন কঠোর শাস্তি হয়। সেটা নিশ্চিত করতে যেখানে প্রয়োজন হবে সেখানেই যাব।"