শেষ আপডেট: 5th March 2025 12:06
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পানাগড় কাণ্ডের (Panagarh Accident Case) জল এবার গড়াল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন দুর্ঘটনায় মৃত সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের মা। স্বচ্ছ তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে মামলা করেছেন তিনি। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের (Justice Tirthankar Ghosh) এজলাসে এই আবেদন করা হলে মামলা দায়েরের অনুমতি দেওয়া হয়। সুতন্দ্রার মায়ের দাবি, জাতীয় সড়কে ইভটিজিং ও মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর কারণেই মৃত্যু হয়েছে মেয়ের।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি পানাগড়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় চন্দননগরের নৃত্যশিল্পী তথা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্ণধার সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের। সেই ঘটনায় দাবি করা হয়, মদ্যপান করে কয়েকজন যুবক অন্য একটি গাড়ি নিয়ে সুতন্দ্রার গাড়িকে ধাওয়া করে এবং তার জেরেই দুর্ঘটনা হয়েছিল। সুতন্দ্রার গাড়ির চালক প্রথমে এই কথা বললেও তিনি পরে একাধিকবার বয়ান বদলান। শেষে সুতন্দ্রার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর এই গ্রেফতারির পরই স্বচ্ছ তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে গেছেন মৃতার মা।
পুলিশের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে আগেই বলে দেওয়া হয়েছে, এই ঘটনা ইভটিজিং-এর নয়, রেষারেষির। কিন্তু এই দাবি মানতে নারাজ সুতন্দ্রার পরিবার। তাঁদের পাল্টা অভিযোগ, পুলিশ বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে চাইছে তাই তাড়াতাড়ি ঘটনাকে রেষারেষি বলে দিচ্ছে। রহস্যের সমাধান করতে ঘাতক সাদা গাড়ির চালক বাবলু যাদবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সুতন্দ্রার মায়ের দাবি, মেয়ের গাড়িতে আর বাবলু যাদবের গাড়িতে যারা ছিল সবাইকে তদন্তের আওতায় আনা হোক। পুলিশ স্বচ্ছভাবে তদন্ত করে দোষীদের করা শাস্তির ব্যবস্থা করুক।
সুতন্দ্রার মা থানায় জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে ইভটিজিংয়ের অভিযোগই তুলেছেন। তিনি লেখেন, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর কারণেই মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় দুটি গাড়িই চলছিল। দুর্ঘটনায় মেয়ের মৃত্যুর জন্য দুটি গাড়িতে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা সবাই দায়ী। প্রথম থেকেই মেয়ের মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন মা। দুর্ঘটনার পর কাঁকসা থানায় যে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরে চন্দননগর থানাতেও দায়ের হয় মামলা।