শেষ আপডেট: 13 October 2022 03:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অনুষ্ঠানে গিয়ে বাংলার রাজনৈতিক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরব হলেন উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। তিনি বলেছেন, বাংলার মতো রাজনৈতিক অশান্তি যেন আর কোনও রাজ্যে না হয়। হিংসা কোথাও কাম্য নয়।
উপরাষ্ট্রপতির মতো সাংবিধানিক উচ্চ পদে আসীন ব্যক্তির মুখে কোনও একটি রাজ্যের নিন্দা শুনে রাজনৈতিক মহল বিস্মিত। ক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেসও।
দলের এক প্রবীণ নেতার কথায়, উনি বাংলার রাজ্যপাল থাকাকালে ছিলেন বিজেপির নেতা, আরএসএসের স্বয়ং সেবক। এখন উপরাষ্ট্রপতি হয়েও একই কর্তব্য পালন করছেন। অবমাননা করছেন উপরাষ্ট্রপতি পদের।
অন্যদিকে, বিরোধীরা খোঁচা দিয়ে বলছে, এই ধনকড়ের উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের সময় তৃণমূল ভোটদানে বিরত থেকে বিজেপি প্রার্থীকেই পরোক্ষে সমর্থন করেছিল।
বাংলার রাজ্যপাল থাকাকালে ধনকড় প্রায়ই রাজনৈতিক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরব হতেন। তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল সংঘাত নজির ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
ধনকড়কে রাজ্য থেকে সরিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীকে দফায় দফায় চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। সেই বিবাদ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায় গত বছর বিধানসভা নির্বাচনের পর ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে প্রথমে কলকাতা হাইকোর্ট, পরে সুপ্রিম কোর্ট অভিযোগগুলির অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয়।
ইমন-মমতার ফ্রেম নিয়ে বাম কটাক্ষের ঢেউ, পাল্টা তোপ গায়িকার
কমিশন তাদের অনুসন্ধান রিপোর্টে বলে, বাংলায় আইনের শাসনের জায়গায় শাসকের আইন বলবৎ হয়েছে। তার জেরেই রাজনৈতিক সন্ত্রাস মাত্রা ছাড়া।
গতকাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অনুষ্ঠানে ধনকড় সেই রিপোর্টের উল্লেখ করেন। আর তা নিয়েই বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর কোনও বিষয় নিয়ে উপরাষ্ট্রপতির রাজ্যের নাম ধরে মন্তব্য করা উচিত কিনা। কারণ, সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিদের তা এড়িয়ে চলাই রীতি। তবে ধনকড় রাজ্যপাল থাকাকালেও হামেশাই রাজনৈতিক গণ্ডি পেরতেন। তাঁর সেই কর্মধারা অনুমোদন করে বিজেপি তাঁকে জনগণের রাজ্যপাল আখ্যা দিয়েছিল।