শেষ আপডেট: 5th February 2024 19:36
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ডিএ বা মহার্ঘভাতা নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের দায়ের করা মামলার শুনানি ফের পিছিয়ে গেল সুপ্রিমকোর্টে।
সোমবার বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং প্রশান্ত মিশ্রর এজলাসে মামলাটি ওঠার কথা ছিল। আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলাটি ৬০ নম্বর সিরিয়ালে তালিকাভুক্ত ছিল। কিন্ত আদালতের সময় শেষ হয়ে যাওয়া্য় এদিন ৪০ নম্বর সিরিয়াল পর্যন্ত মামলার শুনানি হয়। ফলে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মামলার শুনানি ফের স্থগিত হয়ে যায়।
মামলার পরবর্তী শুনানি কবে হবে, তা এখনও আদালত থেকে জানানো হয়নি। তবে এসব ক্ষেত্রে চার সপ্তাহের মধ্যে ফের স্থগিত মামলার শুনানি হয়ে থাকে। তাই আগামী মাসে ডিএ মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। এই নিয়ে টানা ১১ বার শুনানি পিছিয়ে গেল। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, বার বার শুনানি পিছিয়ে গেলেও তাঁরা হাল ছাড়বেন না।
যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, "আশা করেছিলাম, এদিনই শুনানি হবে। কিন্তু তা হল না। তবে আমরা হাল ছাড়ছি না।" একই কথা শুনিয়েছেন সরকারি কর্মচারী পরিষদের রাজ্য সভাপতি দেবাশিস শীল।
তিনি বলেন, "বিহার, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যও তাদের কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিয়েছে। একমাত্র বাংলা যেখানে কেন্দ্রের সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে রাজ্যের কর্মচারীদের ডিএ এর ফারাক ৩৬ শতাংশ।"
মামলাকারীদের অভিযোগ, প্রতিবছরই কেন্দ্রীয় সরকার তাঁর কর্মচারীদের ডিএ দিলেও এরাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে কর্মচারীদের ডিএ বকেয়া রাখা হয়েছে। বারবার রাজ্যকে অনুরোধ উপরোধ করেও কাজ না হওয়ায় বকেয়া ডিএ-র দাবিতে রাজ্যের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ।
ওই মামলায় রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘভাতা দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার জন্য গত বছর ২০ মে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এজন্য রাজ্যকে তিনমাসের সময়সীমাও বেঁধে দেয় আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে পাল্টা মামলা দায়ের করে রাজ্য সরকার। ওই মামলারই শুনানি চলছে শীর্ষ আদালতে।
বস্তুত, গত বছরের শেষে বড়দিনের মুখে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।