ফাইল ছবি।
শেষ আপডেট: 22nd September 2024 16:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জুলাইয়ের পর অন্যান্য সবজির দাম কমলেও আদা, রসুনের দাম কমেনি। বাড়তে বাড়তে রসুন এখন চারশো টাকা কিলো! সামান্য পিছিয়ে আদা। খুচরো বাজারে কেজি প্রতি দাম ৩২০ থেকে ৩৫০। জুলাইয়ের মতো লঙ্কাও ফের ছুঁয়েছে দেড়শো টাকার ঘর। সেঞ্চুরি পার করেছে বেগুন, শশা, ঝিঙে।
পটল, উচ্ছে, ঢ্যাঁরশের দাম সেঞ্চুরি ছুঁই ছুঁই। এমনকী পুঁইশাক, কুমড়োও কিলো প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে! আলুর দামও ৩০ এর নীচে নামেনি। তুলনামূলকভাবে অনেকটাই সস্তা পেফে। কিলো প্রতি ২০ টাকায় বিকোচ্ছে লিভারের উপকারী এই সবজি।
গত কয়েকদিন ধরে একটু একটু করে সবজির দাম বাড়ছিল। বিক্রেতারা বলছেন,সবজির দাম আরও ঊর্ধমুখী হবে। পরিস্থিতির জন্য বন্যাকেই দায়ী করছেন তাঁরা।
ভারী বৃষ্টি এবং জলাধার থেকে ছাড়া জলের দাপটে মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি। বন্যার জলে ভেসেছে ফসল। কলকাতা থেকে জেলার বাজারে পা রাখলেই উর্ধ্বমুখী সবজির দাম আপনাকে বন্যার কথা মনে করিয়ে দেবে। তাতেও না হলে বিক্রেতারা তো আছেন। বাড়তি দামের কারণ জিজ্ঞেস করলেই জবাব আসছে, টিভি দেখেননি, জেলায় জেলায় বন্যা! ফসল তো সব ভেসে গেছে!
ফলে পুজোর মুখে বাজারে গিয়ে হাতে ছ্যাঁকা পড়ার জোগাড়। লোকে বলছে খাবো কী! দোকানিদের বক্তব্য, আমাদের অবস্থা আরও করুণ। দিনের শেষে লাভের গুড় মেলে না। দামের কারণে লোকে কিনছে কম।
তবে অনেকের মতে, বন্যার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাড়তি মুনাফার লোভে কৃত্রিম চাহিদাও তৈরি করা হচ্ছে। কারণ, এমন অনেক বাজার রয়েছে, বন্যা কবলিত এলাকার সঙ্গে যে বাজারের কোনও সম্পর্ক নেই, কখনও সবজি আসেও না, সেখানেও সবজির উর্ধ্বমুখী দাম ঘিরেই কালোবাজারির প্রশ্ন উঠছে।
ব্যবসায়ীদের একাংশ একান্ত আলাপচারিতায় বলছেন, এর পিছনে একটা গভীর চক্রও রয়েছে। যে সবজিটা হয়েছে সেটাও অনেকে বাজারে আনছেন না। আগে সংরক্ষণের এতটা ব্যবস্থা ছিল না। ফলে নষ্ঠ হওয়ার ভয়ে অনেকেই উৎপাদিত সবজির সবরা বাজারে এনে বিক্রি করে দিতেন। এখন অনেকেই সবজি হিমঘরে রেখে দেন। দাম বাড়লে বাজারে ছাড়া হয়।
বিক্রেতারা ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করেছেন, দাম আরও বাড়বে। অর্থাৎ পুজোর মুখে সবজি হয়ে উঠতে পারে আরও মহার্ঘ। বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের টাস্কফোর্স রয়েছে। জুলাইয়ের মতো তাঁরা আবার পথে নামেন কিনা, সেটাই দেখার।