শেষ আপডেট: 10th November 2021 04:27
উত্তরাখণ্ডের পাহাড় কেটে চারধাম প্রজেক্ট, পরিবেশবিদদের মামলায় চিনের যুক্তি দিচ্ছে কেন্দ্র
দ্য ওয়াল ব্যুরো: উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) পাহাড়ি রাস্তা কেটে কেন্দ্রের চারধাম প্রকল্পের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। তারই শুনানিতে মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, পরিবেশ এবং দেশরক্ষা, দুইই সমান জরুরি। চিনের বৃহত্তম যুদ্ধজাহাজ এল পাকিস্তানে! অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে ঘুম উড়তে পারে দিল্লির উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ি এলাকায় প্রচুর গাছগাছালি রয়েছে। সেই প্রাকৃতিক অরণ্য সম্পদকে ধ্বংস করে 'চারধাম প্রকল্প' গড়ার বিরোধিতা করেছেন অনেকেই। এই প্রকল্পের জন্য উত্তরখণ্ডের রাস্তা আরও চওড়া করা হবে, আর তাতে অনিবার্যভাবেই কাটা পড়বে প্রচুর গাছ। কেন্দ্রের তরফে সুপ্রিম কোর্টের কাছে রাস্তা ১০ মিটার চওড়া করার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। কিন্তু এতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হবে এবং পাহাড়ি ধসের মাত্রাও বাড়তে পারে, জানিয়েছেন, পরিবেশবিদরা। চারধাম হাইওয়ে প্রজেক্টে গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী, কেদারনাথ ও বদ্রীনাথকে সংযুক্ত করা হবে। এতে তৈরি হবে ৮৯৯ কিলোমিটার রাস্তা। দেরাদুনের কাছ থেকে এই রাস্তা বর্ধিত করতে চায় কেন্দ্র। এই মামলায় আগে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, ৫ মিটারের বেশি চওড়া করা যাবে না রাস্তা। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্টে অন্য যুক্তি সাজিয়েছে কেন্দ্র সরকার। তারা বলেছে, উত্তরাখণ্ডে রাস্তা আরও চওড়া করা অত্যন্ত জরুরি। কারণ, চিন এই এলাকায় নজর রাখছে। সেই বিদেশী শত্রুর মোকাবিলায় দেশের স্বার্থেই প্রয়োজন চওড়া রাস্তা। কেন্দ্রের প্রতিনিধি হিসেবে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল এদিন আদালতে বলেন, পাহাড়ের উল্টোদিকেই চিন হেলিপ্যাড তৈরি করছে। গড়ে উঠছে বিল্ডিংও। তাই ভবিষ্যতে এই রাস্তা দিয়ে যুদ্ধ সামগ্রী-বোঝাই ট্রাক, রকেট লঞ্চার এবং ট্যাঙ্ক নিয়ে যেতে হতে পারে। তাই এই রাস্তা চওড়া করা দরকার। পরিবেশরক্ষার তাগিদে আদালতে অপরপক্ষ এবছরের ভূমিধসের উদাহরণ তুলে ধরেছে। বিপক্ষের প্রতিনিধি বলেছে, আমি বলতে চাইছি না যে দেশের সুরক্ষা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কিন্তু আমার বক্তব্য হল, এখানে যে চওড়া রাস্তা দরকার হবে বলা হচ্ছে, তা তো ভারতীয় সেনাবাহিনী এখনও দাবি করেনি। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, গত কয়েক মাস ধরে সীমান্তে যেভাবে গোলমাল বেড়েছে, তাতে দেশের সুরক্ষাই অগ্রাধিকার। তবে পরিবেশরক্ষাকেও প্রাধান্য দিতে হবে। দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য রাখা দরকার। পড়ুন দ্য ওয়ালের সাহিত্য পত্রিকা 'সুখপাঠ'