শেষ আপডেট: 13th January 2022 07:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আগামীকাল শুক্রবার উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটের প্রথম দফার বিজ্ঞপ্তি জারি করবে নির্বাচন কমিশন। তার কয়েক ঘণ্টা আগেও রাজ্য জুড়ে দল বদলের যেন উৎসব চলছে। খানিক আগে বিজেপি ছাড়লেন আর এক বিধায়ক মুকেশ শর্মা। তাঁকে নিয়ে তিন দিনে গেরুয়া শিবির ছেড়ে গেলেন সাত বিধায়ক। ওই রাজ্যে সাত দফায় ভোটের শেষ দফা হবে মার্চের গোড়ায়। ততদিন পর্যন্ত গো-বলয়ের সবচেয়ে বড় রাজ্যটিতে দলকে অটুট রাখাই এখন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেরও সবচেয়ে মাথাব্যথার কারণ। এই পরিস্থিতিতে দলের কর্মী-সমর্থকদের মনোবল চাঙ্গা রাখতে আপৎকালীন ব্যবস্থা হিসাবে বিরোধী শিবিরে পাল্টা হানার কৌশল নিয়েছে বিজেপি। বুধবার রাতে কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টির দুই বিধায়ক যথাক্রমে নরেশ সৈনি ও হরিওম যাদবকে দলে নিয়েছে বিজেপি। মালা পরিয়ে বরণ করার পাশাপাশি মঞ্চে তাঁদের হাতে বিজেপির সদস্যপদের কাগজ তুলে দেওয়া হয়। বর্তমান বিধানসভায় বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা তিনশোর বেশি। সেখানে সাত-দশজন বিধায়কের দল ছাড়াতে বড় কোনও বিপদ হওয়ার কথা নয়। কিন্তু গেরুয়া শিবিরকে বিপাকে ফেলেছে দলছুটদের বক্তব্য। দুই মন্ত্রী-সহ দল ছেড়ে যাওয়া সাত বিধায়কই অভিযোগ করেছেন, যোগীর জমানায় দলিতদের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। হাথরসের মতো ঘটনাকে তুলে ধরে বিরোধীরা গোড়া থেকেই যোগী সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে আসছে। এবার ঘরের লোকেরাও এ নিয়ে সরব হচ্ছে। দলিতদের প্রতি অত্যাচার, অবমাননার ঘটনা মাথায় রেখে যোগী বছর খানেক আগে থেকে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন। দলিতদের বিভিন্ন সংগঠনের অনুষ্ঠানে যাতায়াত শুরু করেন। মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করে বেশ কয়েকজন দলিত বিধায়ককে মন্ত্রী করেন। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি অখিলেশের পাল্টা চালে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ বিজেপির দলিত নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিলেন। বিদ্রোহীরা দল ছাড়ার জন্য এমন একটা সময় বেছে নিয়েছে যখন দিল্লিতে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে বসেছে বিজেপির জাতীয় নির্বাচন কমিটি।