শেষ আপডেট: 9th February 2021 06:47
দ্য ওয়াল ব্যুরো : গত রবিবার প্রাক্তন সেনাপ্রধান তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি কে সিং চিন সীমান্তে উত্তেজনা নিয়ে মন্তব্য করেন। চিনের দাবি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজ্ঞাতসারে স্বীকার করেছেন, ভারতের ফৌজ চিনের সীমানার মধ্যে প্রবেশ করেছিল। রবিবার ভি কে সিং গিয়েছিলেন তামিলনাড়ুর মাদুরাইতে। তাঁকে চিন সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে চিনের সীমারেখা নির্দিষ্ট করে টানা নেই। তাই বছরের পর বছর ধরে সীমান্ত লঙ্ঘিত হয়ে চলেছে। তাঁর কথায়, "ভারতের সঙ্গে চিনের সীমান্ত নির্দিষ্ট করে টানা হয়নি। চিন অনেক সময় ভারতের মধ্যে ঢুকে পড়ে। তারা বলে, আমরা নিজেদের সীমান্তের মধ্যেই আছি। আমরাও যে কতবার সীমান্ত লঙ্ঘন করেছি, তাও কেউ জানে না। কারণ লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল নিয়ে আমাদের নিজস্ব ধারণা আছে।" পরে মন্ত্রী বলেন, "সীমান্ত পেরোলে আমরা ঘোষণা করি না। চিনের মিডিয়াও এ সম্পর্কে কোনও খবর দেয় না। কিন্তু আমি একটা কথা বলতে চাই, চিন যদি ১০ বার আমাদের সীমানায় ঢুকে পড়ে থাকে, আমরা অন্তত ৫০ বার ওদের সীমানার মধ্যে ঢুকেছি।" ভি কে সিং বলেন, সীমান্ত নিয়ে নিজস্ব ধারণা অনুযায়ী কাজ করছে চিন। তারা নিজেদের জমির পরিমাণ বাড়িয়ে নিতে চাইছে। কিন্তু আমরা তা হতে দেব না। এরপরে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, "ভারত বার বার আমাদের এলাকায় ঢুকে পড়ে বলেই সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।" পরে তিনি বলেন, "ভারতের তরফে অজ্ঞাতসারেই সত্যিটা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। ভারতীয় সেনা প্রায়ই চিনের সীমানা পেরিয়ে ঢুকে পড়ে। চিনের জমি দখল করতে চেষ্টা করে।" গত জুন মাস থেকেই লাদাখে চিন সীমান্তে সৃষ্টি হয়েছে উত্তেজনা। এবার সীমান্তে ১৫ দিন তীব্র যুদ্ধ চালানোর জন্য অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা করছে ভারতীয় সেনা। এর আগে চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে দু'টি ফ্রন্টে যুদ্ধ চালানোর জন্য ১০ দিনের উপযোগী অস্ত্র ও গোলাবারুদ জড়ো করেছিল সেনাবাহিনী। একটি সূত্রে খবর, চিন সীমান্তে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে ভারত সরকার ৫০ হাজার কোটি টাকার অস্ত্র ও যুদ্ধের অন্যান্য সরঞ্জাম কিনতে পারে। বহু আগে সীমান্তে ৪০ দিন যুদ্ধ চালানোর উপযোগী অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা করে রাখা হত। পরে যুদ্ধের চরিত্র বদলে যায়। তখন ১০ দিনের উপযোগী অস্ত্র ও গোলাবারুদ সঞ্চয় করে রাখা হতে থাকে। সেই সময় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর প্রধানরা ১০০ কোটি টাকার অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম কিনতে পারতেন। কিন্তু উরিতে পাকিস্তানের হামলার পরে তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পরিকর তিন বাহিনীর প্রধানদের ৫০০ কোটি টাকার অস্ত্র ও সরঞ্জাম কেনার অধিকার দেন। লাদাখ সীমান্তে চিনের সঙ্গে বিরোধ মেটার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এর মধ্যে জানা যায়, উত্তর-পূর্ব ভারতের কয়েকটি জঙ্গি গোষ্ঠীকে সমর্থন করছে চিন। অক্টোবরের মাঝামাঝি চার মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি নেতা চিনের কুনমিং শহরে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁরা চিন থেকে অস্ত্রশস্ত্র আনতে গিয়েছিলেন।