শেষ আপডেট: 28th March 2025 14:56
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মালদার মোথাবাড়িতে (Malda Mothabari) অশান্তির ঘটনায় এবার এনআইএ তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court) বিচারপতি সৌমেন সেনের দৃষ্টি আকর্ষণ আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারির। মামলা দায়েরের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আজই তার শুনানি ছিল।
শুক্রবার এসপি ও ডিএম-কে দ্রুত 'অ্য়াকশন টেকেন' রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের। বুধবারের মধ্যে দিতে হবে এই রিপোর্ট। হাইকোর্টের স্পষ্ট বক্তব্য, ঘটনার স্পর্শকাতরতা দেখে মনে হয় রাজ্যের দায়িত্ব নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। একইসঙ্গে বিচারপতি এও বললেন, এই মুহূর্তে কেন্দ্রের ভূমিকা আছে বলে মনে হয় না। আমরা সবাই শান্তি চাই। রাজ্য সেটা দিতে ব্যর্থ হলে দেখা যাবে। একইসঙ্গে রাজ্যকে ফেসবুক লাইভ-সহ যাবতীয় ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের তরফে সাফ বলা হয়, গতকাল ঘটনায় দুটো দোকান ভাঙা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক। ৩০০ (৭ জন ইন্সপেক্টর, ৫ ডিএসপি) পুলিশ মোতায়েন করা আছে। একইসঙ্গে অশান্তির ঘটনায় ইতিমধ্যেই ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানানো হয় রাজ্যের তরফে। বিচারপতি ভিডিও ‘চেকের’ কথা বলতেই রাজ্যে তরফে জানানো হয় তাঁদের কাছে দুই ধরনের ভিডিও এসেছে। তার মধ্যে কিছু ভিডিও ঠিক, কিছু মিথ্যা।
বৃহস্পতিবার থেকেই উত্তরবঙ্গের সীমান্তবর্তী অঞ্চল মোথাবাড়িতে উত্তেজনা ছড়ায়। ইতিমধ্যে শাসকদল চুপ করে আছে কেন, সেই অভিযোগ তুলে ময়দানে নেমেছে বিজেপি। একটা ছোট্ট এলাকার মধ্যে তৈরি হওয়া অশান্তি রূপ নিয়েছে রাজনৈতিক উত্তেজনার।
বিএসএফ (BSF) সূত্রে খবর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে যে মোট ৮৭ জন জওয়ানকে মোথাবাড়ি-সহ আরও বেশ কিছু এলাকায়, যেখানে অশান্তির রেশ ছড়িয়েছে, সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি, তাদের সহযোগিতার জন্য পুলিশবাহিনীকেও উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সুকান্ত মজুমদারের পোস্ট করা যে ভিডিও নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে, তাতে দেখা যায় কিছু যুবককে ধর্মীয় পতাকা নিয়ে মিছিল করছেন। তারপরই দেখা যায় রাস্তার পাশে দোকানের ভাঙা শেড। ক্যাপশনে বিজেপি রাজ্য সভাপতি লেখেন, "তোষণসর্বস্ব ব্যর্থ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের হিন্দুদের অস্তিত্ব ক্রমশ আশঙ্কার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। এই ভয়াবহ ছবি আজকের দক্ষিণ মালদহের মোথাবাড়ি অঞ্চলের চৌরঙ্গী মোড়ের।"
তিনি আরও লেখেন, "এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে হিন্দুদের ৬০-৭০ টি দোকান ভেঙ্গে লুঠ করা হয়েছে, হিন্দুদের ঘরবাড়ি আক্রমণ করা হয়েছে এবং মূল রাস্তায় দখল নিয়ে যথেচ্ছাচারে গাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে। এলাকার হিন্দুরা ত্রস্ত, আতঙ্কিত কিন্তু এলাকায় কোনও পুলিশের দেখা নেই! সংখ্যালঘু মুসলিমদের তোষণ করতে করতে রাজ্যের ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী তাঁর গ্রেটার বাংলাদেশ তৈরির গোপন অভিসন্ধি ক্রমশই সফল করে তুলছেন। বাংলার নিপীড়িত অসহায় হিন্দুরা সম্মিলিত হয়ে এই অন্যায় তোষণনীতির প্রতিশোধ নেবেন ২০২৬-এ।"