শেষ আপডেট: 5th October 2024 17:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জয়নগর কাণ্ডের আঁচ এবার কাঁটাপুকুর মর্গের সামনে। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি বেঁধে যায়। বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হলেও পরিস্থিতি এমন জায়গায় চলে যায়, যার জন্য সেখানে রক্ত ঝরারও খবরও সামনে এসেছে। ইতিমধ্যেই মর্গের ভেতরে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। ভেতরেই রয়েছে মৃত ছাত্রীর দেহ। কেউ যাতে ভেতরে ঢুকতে না পারে তাই মর্গের গেটে তালা দিয়ে দেওয়াও হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। কোনও রাজনৈতিক দলের কাউকে প্রবেশ করতে না দেওয়ার কথা বলে পুলিশ। আর তার পরপরই হাতাহাতি শুরু হয়। জানা গেছে আইনজীবীরাও ভেতরে ঢুকতে পারছেন না এই পরিস্থিতিতে।
৯ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তেতে উঠেছে জয়নগর। শনিবার দুপুরে পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল গেলে হুলস্থুল কাণ্ড বেঁধে যায়। তাঁকে দেখে 'গো ব্যাক' স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষুব্ধরা। এমনকী সাংসদকে উদ্দেশ্য করে জুতোও দেখানো হয়।
তৃণমূল সাংসদকে ঘিরে যখন স্থানীয়রা ফুঁসছেন তখনই সেখানে উপস্থিত হন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। পুলিশ তাঁর পথ আটকালে তিনি প্রতিমা দেবী দিকে এগিয়ে যান। সাংসদের সঙ্গে কথা বলেন অগ্নিমিত্রা। তিনি বলেন, "দিদি আপনিও জনপ্রতিনিধি আমিও জনপ্রতিনিধি। আপনাকে জবাব দিতে হবে কেন পুলিশ এফআইআর নেয়নি? কেন পুলিশ নিষ্ক্রিয়? এভাবে কত দিন চলবে। আমরা দেহের সংরক্ষণ চাই।" পাল্টা প্রতিমা মণ্ডল বলেন, "আপনার কথা মতো পুলিশ কাজ করবে না। আইনমত কাজ করবে।" এতো কিছুর পরেও পুলিশ অগ্নিমিত্রা পলকে হাসপাতালে ঢুকতে দেয়নি।
পরে সেখানে বাম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় ও মীনাক্ষী মুখোপাধ্য়ায়কেও দেখা যায়। তাঁদেরও পথ আটকায় পুলিশ। কিন্তু পরবর্তীতে তাঁদের হাসপাতালে ঢোকার জন্য পথ ছেড়ে দেয় পুলিশ। শুক্রবার রাতে জয়নগরের মহিষমারি এলাকায় একটি জলাভূমি থেকে ন’বছরের একটি শিশুর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে তেতে ওঠে এলাকা। ঘটনা ঘিরে শনিবার সকাল থেকে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় জয়নগর থানা এলাকার মহিষমারি পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা। আর এবার ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল কাঁটাপুকুর মর্গে।