শেষ আপডেট: 30th September 2023 19:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এক সপ্তাহে দু’বার। ফের বিশ্বভারতীর মধ্যেকার তিন কিলোমিটার রাস্তা ফেরৎ চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
ইউনেস্কো থেকে সদ্য হেরিটেজ তকমা পেয়েছে বিশ্বভারতী। কিন্তু রাজ্য রাস্তা ফিরিয়ে না দিলে এভাবে সারাক্ষণ গাড়ির হর্ণ বাজতে থাকলে অচিরেই ওই হেরিটেজ তকমা হারাতে পারে বিশ্বভারতী। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে এমনই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
সূত্রের খবর, চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে লেখা হয়েছে, গাড়ি শব্দে শান্তিভঙ্গ হচ্ছে। ভারী গাড়ি চলাচল করলে কাঁপে উপাসনাগৃহ। এমন চলতে থাকলে অচিরেই ইউনেস্কো হেরিটেজ তকমা কেড়ে নিতে পারে। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতির দায় বর্তাবে উপাচার্য এবং বিশ্বভারতীর সহকর্মীদের উপরে। তাই আশ্রমের হেরিটেজ ভবন রক্ষার্থে এবং আনন্দ পাঠশালার শিশুদের নিরাপত্তার খাতিরে এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের তৎপরতার দাবি জানিয়েছেন উপাচার্য।
দ্য ওয়াল এখন হোয়াটসঅ্যাপেও। ফলো করতে ক্লিক করুন।
এই বিষয়ে আশ্রমিকদের নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে উপাচার্য লেখেন, "এখানকার কিছু মানুষ নিজেদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিচ্ছে। তাই আপনাকে রাস্তা না ফিরিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছে। কিন্তু, বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যের তকমা ধরে রাখতে অনুগ্রহ করে রাস্তাটি বিশ্বভারতীকে দিন।"
সম্প্রতি শান্তিনিকেতনকে বিশ্ব হেরিটেজের তকমা দিয়েছে ইউনেস্কো। সেই তকমা ধরে রাখতে চায় বিশ্বভারতী। এর আগে গত সপ্তাহেই রাস্তা ফেরৎ চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন উপাচার্য।
শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী উপাসনা গৃহের সামনে থেকে কালিসায়র পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা রাজ্য সরকারের পূর্ত বিভাগের অধীনে ছিল। ২০১৭ সালে তৎকালীন উপাচার্য স্বপন দত্তের আবেদনের ভিত্তিতে রাস্তাটি বিশ্বভারতীকে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এই রাস্তাটি প্রায় সময় আশ্রমিক ও সাধারণ মানুষের যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করতে দিতেন না। এই মর্মে আশ্রমিকেরা চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে। সেই মত ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর বীরভূম জেলা সফরে এসে রাস্তাটি বিশ্বভারতীর থেকে ফিরে নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।