শেষ আপডেট: 24th October 2024 10:18
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সে আসছে! বুধবারই কিছুটা আভাস পেয়েছিলেন বঙ্গবাসী। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আরও বেশি করে নিজের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে ঘূর্ণিঝড় দানা। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে বৃহস্পতিবার ছুটিতে গিয়েছে সূর্য!
কলকাতা থেকে জেলা, সকাল থেকে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। সঙ্গী বৃষ্টি। দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক এলাকায় শুরু হয়েছে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। ঝির ঝিরে বৃষ্টি শুরু হয়েছে কলকাতা, হাওড়া হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাতেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। অধিকাংশ এলাকাতেই বৃষ্টির চেয়ে হাওয়ার দাপট বেশি।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, বেলা বাড়লে ঝড়-বৃষ্টির দাপটও বাড়বে। হাওয়া অফিসের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৪ অক্টোবর রাত ৮টার পর থেকে ২৫ অক্টোবর সকাল ৮ টার মধ্যে উত্তর ওড়িশা ও সাগরদ্বীপের মাঝামাঝি জায়গা ওড়িশার ভিতর-কণিকা ও ধামরার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় দানার ল্যান্ডফল করার সম্ভাবনা প্রবল।
আবহাওয়া দফতরের আধিকারিক হাবিবুর রহমান বলেন, সমগ্র ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শেষ হতে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা সময় লাগে। আশা করা যাচ্ছে ওই সময়ের মধ্যে ল্যান্ডফল হতে পারে। ফলে ল্যান্ডফলের সময় যত এগিয়ে আসবে ঝড়, বৃষ্টির দাপটও ততই বাড়বে। ইতিমধ্যে দিঘা, মন্দারমনি, কাকদ্বীপ, বকখালি-সহ রাজ্যের উপকূলবর্তী পর্যটন এলাকা পর্যটক শূন্য করা হয়েছে।
অতীতে ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে দিঘায় ক্ষয়ক্ষতির একাধিক ঘটনা ঘটেছে। তাই কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ প্রশাসন। সমুদ্র উপকূল বর্তী এলাকা থেকেও মানুষজনকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে মঙ্গলবার বিকেল থেকেই। তথৈবচ হাল মন্দারমনি, বকখালি, কাকদ্বীপে। জেলা প্রশাসনের তরফে সকাল থেকে চলছে কড়া নজরদারি। সমুদ্র পারে থাকা দোকানগুলিও ইতিমধ্যে সরানো হয়েছে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় দানার দাপটে দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এর পাশাপাশি কলকাতা, হাওড়া, হুগলি বাঁকুড়া , পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলায় আংশিক প্রভাব পড়তে পারে।