শেষ আপডেট: 3rd January 2024 19:31
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হাওড়া: তিনি স্কুলে যান না। সেই জায়গায় তাঁর মেয়ে স্কুলের দায়িত্ব সামলান। ক্রিসমাস পার্টিতে মদ্যপ অবস্থায় নাচছেন প্রধান শিক্ষক! ভাইরাল ভিডিও দেখে শোরগোল পড়ে গেছে উলুবেড়িয়ার শ্যামপুরে।
জানা গিয়েছে, শ্যামপুর ১ নম্বর ব্লকের বিনোদচক তফসিলি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছয় বছর ধরে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন চন্দন দে। এই গ্রামের বেশিরভাগ বাড়ির ছেলেমেয়েরা এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। স্কুল শিক্ষকের নাচের ভিডিও ভাইরাল হতেই এবার মুখ খুলেছেন গ্রামের মানুষ।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মোটা মাইনে দিয়ে ছেলেমেয়েদের বেসরকারি স্কুলে পড়ানোর সামর্থ নেই তাঁদের। অভাবের সংসারে সন্তানদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য গ্রামের এই স্কুলেই পাঠান তাঁরা। মাস্টারমশাই যদি এমন আচরণ করেন তাহলে পড়ুয়ারা কী শিখবে এই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
অনেকের দাবি, চন্দনবাবু বাবা ছ কিলোমিটার দূরে একটি স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। কর্তব্যরত অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হওয়ার পরে বাবার সেই চাকরি পান চন্দন দে। এরপরে সাত বছর আগে প্রধান শিক্ষক হয়ে বিনোদচক তফসিলি বিদ্যালয়ে যোগ দেন।
গ্রামের মানুষের অভিযোগ, দায়িত্ব নেওয়ার পরেই চন্দনবাবু মদ্যপ অবস্থায় স্কুলে আসতেন। পড়ুয়ারা অভিভাবকদের কাছে একাধিকবার নালিশ করেছিল। স্কুলে মদ্যপ অবস্থায় অভব্য আচরণ করার অভিযোগ ওঠে। এমনকী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন স্কুলের শিক্ষিকাও। কিন্তু তাতেও সংযত হননি ওই শিক্ষক।
অভিভাবকদের আরও অভিযোগ, দু'বছর ধরে স্কুলে আসছেন ওই শিক্ষক। আচমকাই একদিন চন্দনবাবুর মেয়ে প্রধান শিক্ষক হিসাবে আসেন। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলে তাঁর মেয়েও খারাপ ব্যবহার করেন।
গ্রামবাসীদের দাবি, প্রধান শিক্ষক চন্দনবাবু তৃণমূল শিক্ষা শেলের নেতা। প্রভাব খাটিয়ে এই বেনিয়ম করে যাচ্ছেন। যদিও অভিযুক্ত শিক্ষকের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিয়ে পর্ষদ জানিয়েছে, এই ঘটনা তাদের নজরে এসেছে। হাওড়ার জেলা সংসদের আওতায় পড়ে ওই স্কুল। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।