শেষ আপডেট: 9th August 2024 00:04
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জীবদ্দশাতেই দেহদানের অঙ্গীকারে বদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। ৮ অগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা ২০ মিনিটে পামঅ্যাভনিউয়ের বাড়িতেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
শোকের মাঝেও কর্তব্যে অবিচল ছিল পরিবার। ফোন গিয়েছিল সংশ্লিষ্ট দেহদানে অঙ্গীকার বদ্ধ সংস্থার কাছে। তারপরই দুপুরের মধ্যে প্রয়াত বুদ্ধবাবুর কর্নিয়া সংগ্রহ করেছিল রিজিয়োনাল ইনস্টিটিউট অফ অপথ্যালমোলজি, সংক্ষেপে আরআইও।
এদিন সন্ধেই সফলভাবে সেই কর্ণিয়া দু’জনের চোখে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন আরআইও-র ডিরেক্টর অসীমকুমার ঘোষ। অর্থাৎ প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রীর কর্ণিয়ায় দৃষ্টি ফিরে পেলেন দুজন। আরও স্পষ্ট করে বললে, দুজন পেলেন নতুন জীবন। তবে নিয়ম মেনেই গ্রহীতার নাম, পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।
আরআইও সূত্রের খবর, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য শেষ ক’বছর চোখে অনেকটাই কম দেখতেন। অর্থাৎ রেটিনায় সমস্যা ছিল। তবে তিনি যেহেতু ছানির অপারেশন করাননি তাই তাঁর কর্ণিয়ার গুণগত মান বেশ ভাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। মনে করা হচ্ছে, দেহদানের অঙ্গীকারে বদ্ধ হওয়ার কারণেই সম্ভবত ছানির অপারেশন করাননি বুদ্ধবাবু।
বৃহস্পতিবার তাঁর দেহ শায়িত রয়েছে পিস ওয়ার্ল্ডে। জানা যাাচ্ছে, আগামীকাল সকাল সাড়ে ১০টায় সেখান থেকে শেষযাত্রা শুরু হবে রাজ্য বিধানসভার উদ্দেশে। সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১১টা অর্থাৎ ৩০ মিনিট বিধানসভায় মরদেহ থাকবে। বেলা ১২টা নাগাদ সিপিএমের রাজ্য দফতর আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে নিয়ে যাওয়া হবে বুদ্ধবাবুর দেহ। আলিমুদ্দিনে দুপুর ৩টে পর্যন্ত বুদ্ধবাবুর মরদেহ শায়িত থাকবে।
এরপর সেখান থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হবে সিপিএমের ছাত্র ও যুব সংগঠনের রাজ্য দফতর দীনেশ মজুমদার ভবনে। সেখান থেকে বিকেল পৌনে ৪টে নাগাদ শিয়ালদহের এনআরএস হাসপাতালে দেহ নিয়ে যাওয়া হবে। ভবিষ্যতের চিকিৎসার গবেষণার কাজের জন্য আগে থেকেই এনআরএস মেডিক্যালে দেহদানের অঙ্গীকার করে রেখেছিলেন বুদ্ধবাবু।