শেষ আপডেট: 26th February 2025 13:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ইদে দুদিনের ছুটি, আর বিশ্বকর্মা পুজোয় নেই! কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) নয়া বিজ্ঞপ্তি ঘিরে শোরগোল। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শাসকদলের বিরুদ্ধে বিশেষ একটি ধর্মকে তোষামোদ করার অভিযোগ তোলে বিজেপি। প্রশ্ন তোলা হয়, "এটা পশ্চিমবাংলা নাকি বাংলাদেশ?"
বিতর্ক শুরু হতেই অবশ্য সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করে পুরসভা। পরে কলকাতা পুরসভার শিক্ষা বিভাগের মেয়র পারিষদ সন্দীপন সাহা বলেন, "রাজ্য সরকারের ছুটির তালিকা মেনেই কলকাতা পুরসভার ছুটির তালিকা তৈরি করা হয়। শিক্ষা বিভাগের চিফ ম্যানেজার কারও অনুমতি না নিয়ে নিজের মতো করে বিশ্বকর্মা পুজোর ছুটিকে ইদের সঙ্গে মিশিয়েছেন। এটা এক্তিয়ার বর্হিভূত। ওই হিজ্ঞপ্তি বাতিল করা হয়েছে।"
সন্দীপনবাবু জানান, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ম্যানেজারকে শোকজ করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে যা যা ডিসিপ্লিনারি পদক্ষেপ করার করা হবে। একই সঙ্গে তিনি এও বলেন, "বিরোধীদের কাজই ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা। ফলে এনিয়ে নতুন করে কোনও মন্তব্য করব না।"
মঙ্গলবার সন্ধেয় কলকাতা কর্পোরশনের শিক্ষা বিভাগের এডুকেশন ম্যানেজারের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, কলকাতা পুরসভা এলাকার অধীনে থাকা হিন্দি স্কুলগুলিতে এবারে ইদের জন্য দুদিন (৩১ মার্চ ও ১ এপ্রিল) ছুটি থাকবে। বিজ্ঞপ্তিতে পরিষ্কারভাবে এও লেখা হয় যে, ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজোয় আলাদা করে কোনও ছুটি দেওয়া হবে না। সেটা ইদের সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করা হচ্ছে।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল তৈরি হয়। মাঠে নেমে পড়ে পদ্মশিবির। বুধবার সকালে এক ভিডিও বার্তায় বিজেপির অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "সারা দেশে ইদের ছুটি একদিন। অথচ কলকাতায় বিশ্বকর্মা পুজোর ছুটি বাতিল করে ইদের ছুটি দুদিন করা হল। আমরা কি বাংলাদেশে বসবাস করছি নাকি?"
জগন্নাথ এও বলেন, "কলকাতা পুরসভার এই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যেকটি সনাতনীকে আঘাত করেছে। ভাবুন। ২৬ এ তৃণমূলকে বাংলা থেকে বিদায় করুন, না হলে বাংলা থেকে আপনাকে বিদায় হতে হবে।"
পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, "এটা সামগ্রিকভাবে পুরসভার সিদ্ধান্ত নয. এখজন আধিকারিক কারও অনুমতি না নিয়ে এই ধরনের একটি স্পর্শকাতর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন। পুর কর্তৃপক্ষ জানার পরই পদক্ষেপ করেছে। আসলে সব কিছুতে ধর্মের রাজনীতি করা বিজেপির কাজ, সেটা আবারও প্রমাণিত হল।"