শেষ আপডেট: 4th April 2024 11:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরও চাপে শেখ শাহজাহান। এবার সন্দেশখালি কাণ্ডের মূল অভিযুক্তের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হল। একটি নয়, দু-দুটি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হয়েছে। শাহাজাহানের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ছাড়াও তাঁর মাছ ব্যবসা সংক্রান্ত অন্য একটি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। এই দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছাড়াও শাহজাহানের আরও কয়েকটি অ্যাকাউন্টের লেনদেন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যে নজরে রাখছে ইডি।
কী ভাবে কালো টাকা শাহজাহান মাছ ব্যবসার নামে সাদা করত সে তথ্য সামনে এনেছে ইডি। তাঁরা দাবি করেছে, জমি দখল করে তা বিক্রি করে দিত শাহজাহান এবং সেই টাকা চিংড়ি ব্যবসায় লাগানো হত। ইতিমধ্যে শাহজাহানের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তথ্য খতিয়ে দেখে প্রায় ১৩৩ কোটি টাকার হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এখনও অন্তত ১৫টি অ্যাকাউন্টের যাবতীয় লেনদেনের ওপর নজর রাখছে তাঁরা। নিয়মমাফিক সব লেনদেন হয়েছে কিনা সেটা যাচাই করা হচ্ছে।
ইডি আগেই আদালতে দাবি করেছে, শাহজাহান একা নয় এই বেআইনি ব্যবসার সঙ্গে আইজুল মোল্লা, সাবির গাজি, রেজাউল নাইয়া, নাসির শেখ, আবদুল মোল্লা, সইফুদ্দিন শেখ, মুজিবর শেখ ও আবদুল খালেক মোল্লা নামের একাধিক ব্যক্তি ছিল। পাশাপাশি শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীর ও শেখ সিরাজউদ্দিন ছাড়াও আরও বেশ কিছুজনের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, এখনও পর্যন্ত যে পরিমাণ বেআইনি লেনদেনের হদিশ পাওয়া গিয়েছে, তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। যদিও শাহজাহান বুধবার প্রথমবারের জন্য জনসমক্ষে মুখ খুলে দাবি করেছেন, তিনি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যে।
এর আগে কখনও প্রকাশ্যে মুখ খুলতে দেখা যায়নি সন্দেশখালির একদা প্রভাবশালী নেতাকে। এমনকি রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রীতিমতো রাজকীয় কায়দায় বসিরহাট আদালতে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল সন্দেশখালির বাঘকে। সেদিন হাতের ইশারা ছাড়া মুখে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।