ফাইল চিত্র
শেষ আপডেট: 27 February 2025 12:25
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বুধবার কুমোরটুলি কাণ্ডে (Kumartuli Case) ধৃত মা-মেয়েকে একদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। বৃহস্পতিবার সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দুজনকে হাজির করানো হয়েছে বারাসত আদালতে (Barasat Court)। সূত্রের খবর, আদালতে টিআই প্যারেডের আবেদন জানাবে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ (Madhyamgram Police)। তারপর মা ও মেয়েকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে।
ব্যাঙ্কশাল আদালত কলকাতা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিল, সমস্ত কেস ডায়েরি মধ্যমগ্রাম থানার হাতে তুলে দিতে হবে। বারাসাত আদালতে হবে এই মামলার শুনানি। বৃহস্পতিবার থেকেই তার প্রক্রিয়া শুরু হবে। সেই মতোই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে আজ থেকে। ইতিমধ্যে জানা গেছে, দুই অভিযুক্তকে অন্য মহিলাদের সঙ্গে একই সারিতে দাঁড় করিয়ে সাক্ষীদের দ্বারা চিহ্নিতকরণ করানো হবে। এছাড়া যে ট্রলি ব্যাগে দেহটি ভরা হয়েছিল, সেটিকেও চিহ্নিত করার কাজ হবে।
বুধবারই এই ঘটনায় অন্যতম ধৃত ফাল্গুনী ঘোষকে নিয়ে নর্থ পোর্ট থানার পুলিশ ফরেনসিক আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে মধ্যমগ্রামে গেছিল। যে বাড়িতে ধৃতরা ভাড়া থাকতেন সেই বাড়ির পাশের পরিত্যক্ত জমি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে খুনে ব্যবহৃত ইট। পাশাপাশি আরও বেশ কিছু জিনিস ঘটনাস্থল এবং আশপাশ থেকে বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তার মধ্যে রয়েছে ধৃতদের মোবাইল, ভোটার কার্ড, আধার কার্ড এবং ভ্যানিটি ব্যাগ। তবে যে অস্ত্র দিয়ে পা কাটা হয়েছিল সেটা উদ্ধার হয়নি। এই কাজে ফাল্গুনীদের কেউ সাহায্য করেছিলেন নাকি তাঁরা নিজেরাই এই কাজ করেছেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল, বারাসত পুলিশের সঙ্গে মিলে এই ঘটনার তদন্ত করা হবে এবং ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হবে। সেই অনুযায়ী বুধবারই ফাল্গুনীকে নিয়ে নর্থ পোর্ট থানার পুলিশ সহ ফরেনসিক আধিকারিকরা তথ্য সংগ্রহ এবং ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য আসেন মধ্যমগ্রামের সেই ভাড়া বাড়িতে। তবে ধৃতরা মধ্যমগ্রাম থেকে হঠাৎ কলকাতায় কেন গেল দেহ লোপাটের জন্য, তা এখনও কারও কাছে পরিষ্কার নয়।
লালবাজার সূত্রে খবর, পুলিশ জানতে পেরেছে আরতি ঘোষের স্বামী অর্থাৎ ফাল্গুনীর বাবা কুমোরটুলি অঞ্চলে থাকতেন এক সময়ে। গঙ্গার ঘাট এলাকা, আহিরীটোলা অঞ্চলে স্বাভাবিকভাবেই যাতায়াত ছিল মা-মেয়ের। এক্ষেত্রে অনুমান, ওই অঞ্চলের ওলি-গলি ভালমতোই চিনতেন দুজন। তাই ট্রলিব্যাগে মৃতদেহ ভরে কোথায় ফেললে কেউ টের পাবে না, তা আন্দাজ করেছিলেন তারা। যদিও শুধুমাত্র এই কারণেই মধ্যমগ্রাম থেকে এতদূর তারা এসেছিলেন কিনা, এখনই নিশ্চিত হতে পারছে না পুলিশ।