শেষ আপডেট: 3rd April 2023 19:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পয়লা এপ্রিল, চলতি বছর এই দিন থেকেই টুইটার ব্যবহারকারীদের শেষ হয়েছে 'ফ্রি' জমানা। টুইটার (Twitter) মালিক ইলন মাস্কের ঘোষণা মতোই এই মাইক্রোব্লগিং সাইটে নিজের অ্যাকাউন্ট বা পেজের পাশে ব্লু ব্যাজ (Blue Verified Badge) পেতে হলে গুনতে হবে গাঁটের পয়সা। নতুনদের তো নয়ই আগে থেকে যাঁদের ব্লু টিক ছিল তাঁদের জন্যও একই নিয়ম চালু করেছেন ইলন!
গত অক্টোবর মাসে টুইটার অধিগ্রহণের পর ইলন মাস্ক (Elon Musk) যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তার মধ্যে সবচেয়ে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ছিল এই ব্লু সাবস্ক্রিপশন। টুইটারের ব্যবহারকারীদের কাছে নিজের পেজের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে এই ব্লু ব্যাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার জন্য আগে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মানতে হত। কিন্তু এখন থেকে টাকা দিলেই মিলবে এই প্রিমিয়ার পরিষেবা।
ব্যবহারকারীকে এই জন্য মাসে দিতে হবে ৮ মার্কিন ডলার যা ভারতীয় মুদ্রায় ৬৫০ টাকা মতো। মাস্ক জানিয়েছিলেন, যদি ১ এপ্রিল থেকে সেই টাকা দেওয়া না হয়, তবে অ্যাকাউন্টের পাশ থেকে উড়ে যাবে ব্লু ব্যাজ। সেলিব্রেটি থেকে সাধারণ মানুষ, সকলকেই একই নিয়মের আওতায় আনা হয়েছে।
কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে, যাঁদের ইতিমধ্যেই কোটি কোটি ফলোয়ার, যাঁদের অ্যাকাউন্টে বহুদিন ধরে ব্লু টিক রয়েছ, যাঁরা নিয়ম মেনে এই ব্যাজ পেয়েছেন, তাঁরা কি টাকা দেবেন? বহু তারকাই এই নিয়ে নিজের মতামত দিতে শুরু করে দিয়েছেন। ধরা যাক, লেব্রোন জেমসের কথা। তিনি হলেন বিশ্বের বিখ্যাত একজন বাস্কেট বল প্লেয়ার, টুইটারে যাঁর ফলোয়ার সংখ্যা ৫২ মিলিয়ন। সেই জেমস টুইটারের এই নতুন প্ল্যানের বিরোধিতা করেছেন। তাঁর ভক্তদের জানিয়েছেন, তাঁর ব্লু ব্যাজ হাওয়া হয়ে যেতে পারে কারণ তিনি টাকা দিচ্ছেন না!
কানাডিয়ান অভিনেতা উইলিয়াম শাটনেরের কথাও একই রকম। তিনি জানিয়েছেন, যে জিনিসটা তিনি বিনামূল্যে অর্জন করেছেন, তার জন্য কেন টাকা খরচ করবেন? সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল ইলন মাস্ককে ব্লু ব্যাজের জন্য টাকা দিতে নারাজ আমেরিকার হোয়াইট হাউসও!
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, হোয়াইট হাউসের ডিজিটাল স্ট্যাটেজি ডিরেক্টর রব জানিয়েছেন, এখন থেকে যাঁরা টাকা দেবেন তাঁরাই এই যাচাইকরণ ব্লু ব্যাজ পেয়ে যাবে। যা একেবারেই কাম্য নয়। অনেকের মতে, এই ব্যাজ দিয়ে এখন আসল নকল বিভেদ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে। এছাড়াও বিশ্বের তাবড় তাবড় কিছু সংবাদমাধ্যম যেমন নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট ইত্যাদিও ব্লু সাবস্ক্রিপশনের জন্য টাকা দিতে নারাজ।
পেন্টাগনের তথ্য হাতাতেই বেলুন উড়িয়েছিল বেজিং! নয়া রিপোর্টে বিস্ফোরক দাবি