শেষ আপডেট: 30th June 2023 08:18
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিতর্কিত টুইট মুছে ফেলা ও সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করে দিতে টুইটারকে নির্দেশ দিয়েছিল ভারত সরকার। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে গিয়েছিল টুইটার (Twitter)। বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে কর্নাটক হাইকোর্টে (Karnataka High Court) মামলা দায়ের হয়েছিল। শুক্রবার বিচারপতি কৃষ্ণান এস দীক্ষিত টুইটারের আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, আদালতের সময় নষ্ট করার জন্য টুইটার কর্তৃপক্ষকে ৫০ লাক টাকা জরিমানাও করেছেন।
গত বছর রাজধানীতে চলা কৃষক আন্দোলনের সময়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করে জনপ্রিয় মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারের বেশ কিছু ব্যবহারকারী টুইট করেছিলেন। 'মোদী প্ল্যানিং ফার্মার্স জেনোসাইড' নামে হ্যাশট্যাগে বেশ কয়েকটি টুইট করা হয়েছিল। হ্যাশট্যাগ থেকে পরিষ্কার, যাঁরা ওই টুইটগুলি করেছিলেন, তাঁদের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষকদের ওপরে গণহত্যা চালানোর ষড়যন্ত্র করছেন। এমন আড়াইশ টুইট ব্লক করে দেওয়া হয়। কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টা বাদেই তার বেশিরভাগ টুইটই আনব্লক করে দেয় টুইটার। এরপরেই টুইটারকে কড়া বার্তা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার।
টুইটার বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল ভারত, বড় অভিযোগ জ্যাক ডরসির, সরকার বলল মিথ্যা
বিতর্কিত সেইসব টুইট মুছে ফেলা এবং সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার জন্য টুইটার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রক। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গত বছরের জুনে কর্নাটক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন টুইটার কর্তৃপক্ষ। কেন্দ্রের নির্দেশ বাক-স্বাধীনতার বিরোধী এবং গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক বলে আর্জিতে উল্লেখ করা হয়েছিল।
বিচারপতি কৃষ্ণান এস দীক্ষিতের এজলাসে সেই মামলা গিয়েছিল। গত এপ্রিল মাসে বিচারপতি কেন্দ্রের কাছে বিষয়টা জানতে চেয়েছিলেন। তারপর এদিন মামলার শুনানিতে আদালত জানায় টুইটারের এমন অভিযোগের কোনও ভিত্তিই নেই। উল্টে আদালতের সময় নষ্ট করার জন্য টুইটারকে ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই টুইটারের প্রাক্তন সিইও জ্যাক ডরসি এক সাক্ষাৎকারে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন। ওই সাক্ষাৎকারে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, টুইটারকে কি কখনও কোন দেশ বা রাজনৈতিক শক্তির চাপের মুখে পড়তে হয়েছে? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে ডরসি বলেন, “ভারতের কথাই ধরা যাক। ভারতে কৃষক আন্দোলন চলার সময় সরকারের থেকে অনেক অনুরোধ এসেছিল, কিছু অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিতে হবে। বিশেষ করে কিছু সাংবাদিকদের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে বলেছিল যাঁরা সরকারের সমালোচনা করছিলেন।” এখানেই না থেমে খোঁচা দিয়ে জ্যাক বলেছেন, “এটাই আসলে গণতান্ত্রিক ভারত”।