শেষ আপডেট: 4th January 2025 12:13
পৌষ সংক্রান্তি মানেই পাটিসাপ্টার গন্ধে ম-ম করে ওঠা বাংলার ঘরবাড়ি। ক্ষীর, নারকেল বা গুড়ের পুর দিয়ে তৈরি এই মিষ্টি পিঠে আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে। তবে মুর্শিদাবাদের এক বিশেষ দোকানে গেলে আপনি পাবেন পাটিসাপ্টার এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা। কারণ এখানে পাটিসাপ্টার স্বাদে মিশে থাকে আম, চকলেট, এমনকি স্ট্রবেরির মতো ভিন্ন স্বাদের টুইস্ট।
ক্ষীর, নারকলের পাটি-সাপ্টা তো খেয়েছেন। কিন্তু এতে যদিও পাওয়া যায়, আম বা চকলেটের স্বাদ, তাহলে কেমন হয়? এমনই ভিন্ন স্বাদের পাটিসাপ্টা পাওয়া যাচ্ছে মুর্শিদাবাদে। বহরমপুরে ওয়াই এম মাঠেই পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন স্বাদের পাটিসাপ্টা। ক্রেতাদের চোখের সামনে তৈরি করে গরম গরম পরিবেশন করা হচ্ছে। তাই শীতের বিকেলে বহরমপুরের মানুষের মন মজেছে পাটিসাপ্টার স্বাদে।
শুধু পাটি সাপ্টাই নয়, চন্দ্র পুলি, মালপোয়ায় পাওয়া যাচ্ছে এখানে। অনেকে বাড়ির লোকজনের জন্যও কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। গত সাত-আট বছর ধরে মেলায় পাটি সাপ্টায় স্টল দেন সুদীপ্ত। তিনি কলকাতার বাসিন্দা। তাঁদের একটি দল রয়েছে। একাধিক জায়গায় তাঁরা পুলি, পিটে, পাটি সাপ্টার স্টল দেন। সুদীপ্তর দাবি, কম দামে মানুষকে লোভনীয় এসব খাবার খাওয়াতে পেরে তাঁরা খুশি।
মুর্শিদাবাদের একটি ফুড ফেস্টিভ্যাল ঘুরতে গিয়ে দেখা মিলল এই অনন্য পাটিসাপ্টার। ভিড়ে ঠাসা দোকানে স্থানীয় ক্রেতা থেকে শুরু করে পর্যটকরাও উপভোগ করছেন ভিন্ন স্বাদের এই পিঠে। এক ক্রেতা বলেন, 'আম পাটিসাপ্টার স্বাদ একেবারেই আলাদা। এতদিন ভাবতেও পারিনি পাটিসাপ্টায় আমের টুইস্ট হতে পারে।'
পাটিসাপ্টার পুর তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে আমের গুড়ো, চকলেট ক্রিম, স্ট্রবেরি পাল্পের মতো উপকরণ। তবে এর বাইরেও রয়েছে কিছু বিশেষ স্বাদ যা দোকানের গোপন রেসিপির অংশ। দোকানের মালিক বলেন, 'আমরা চেষ্টা করেছি ঐতিহ্যের পিঠেকে এক আধুনিক রূপ দিতে। যাতে নতুন প্রজন্মও এই পিঠের প্রতি আকৃষ্ট হয়।'