শেষ আপডেট: 12th August 2020 12:26
বিমার টাকা পাওয়ার জন্য মিথ্যা করে হেনস্থার কথা বলছে মৃত ছাত্রীর পরিবার, দাবি পুলিশের
দ্য ওয়াল ব্যুরো : গত সোমবার উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে এক মেধাবিনী ছাত্রী বাইক অ্যাক্সিডেন্টে মারা যান। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, দুই ইভটিজার তাঁকে হেনস্থা করেছিল। তার ফলেই দুর্ঘটনা হয়। কিন্তু বুধবার মৃতের পরিবারের দাবি উড়িয়ে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানাল, কেউ ওই ছাত্রীকে হেনস্থা করেনি। তাঁর পরিবার বিমার টাকা পাওয়ার জন্য হেনস্থার গল্প বানিয়েছে।
মৃতের নাম সুদীক্ষা ভাটি। বয়স ছিল ২০। ২০১৮ সালে ১২ ক্লাসের পরীক্ষায় তিনি ৯৮ শতাংশ নম্বর পান। তারপরে আমেরিকায় এক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা করছিলেন। করোনা অতিমহামারীর জন্য জুন মাসে তাঁদের কলেজ বন্ধ হয়ে যায়। সুদীক্ষা বাড়ি ফেরেন। অগাস্ট মাসেই তাঁর আমেরিকায় ফেরার কথা ছিল।
সুদীক্ষার পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, সোমবার তিনি ও তাঁর কাকা গৌতম বুদ্ধ নগরে তাঁদের গ্রামের বাড়ি থেকে বার হন। তাঁদের গন্তব্য ছিল সিকান্দ্রাবাদ। সেখানে স্কুল থেকে সুদীক্ষা দরকারি কিছু কাগজপত্র আনতে যাচ্ছিলেন।
তাঁর পরিবারের সদস্য ওমকার ভাটি জানিয়েছেন, “ইভটিজাররা সুদীক্ষার প্রতি অশালীন মন্তব্য করছিল। তারা বাইক চালাচ্ছিল বিপজ্জনকভাবে।” সুদীক্ষার কাকা সতেন্দর ভাটি জানান, “বুলন্দশহর পেরিয়ে আমরা যখন গ্রামে ঢুকি, দু’টি বাইক আমাদের পিছু পিছু আসছিল। আচমকা বাইক দু’টি আমাদের ওভারটেক করে যায়। এক বাইকচালক নানা স্ট্যান্ট দেখাতে থাকে। আমি তখন বাইকের গতি কমিয়ে দিই। এই অবস্থায় অপর বাইকটি আমাদের ধাক্কা মারে। আমি ও সুদীক্ষা মাটিতে পড়ে যাই। সুদীক্ষার মাথায় আঘাত লাগে।” সতেন্দর জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পরেই বাইক আরোহীরা পালিয়ে যায়। তিনি তাকে চিনতে পারেননি।
মেধাবিনী ছাত্রীর মৃত্যুতে বুলন্দশহরে ব্যাপক জনরোষ দেখা দেয়। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ এফআইআর দায়ের করে। বুধবার পুলিশ অফিসার সন্তোষ কুমার সিং বলেন, "মৃতের বাড়ির লোকজন ঠিক কথা বলছেন না। ওই ছাত্রী বিরাট অঙ্কের টাকা স্কলারশিপ হিসাবে পেতেন। তাঁর পরিবার এখন বিমার টাকা পেতে চাইছেন।" পুলিশের দাবি, যে ছেলেটি বাইকে চড়ে সুদীক্ষাদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল, সে হাইস্কুলের ছাত্র। সম্ভবত সে প্রাপ্তবয়স্ক নয়।
সন্তোষ সিং বলেন, "আমরা মেয়েটির কাকার মোবাইলের কল লিস্ট দেখে জানতে পেরেছি, দুর্ঘটনার সময় তিনি ছিলেন দাদরি এলাকায়। সুদীক্ষার মৃত্যুর দু'ঘণ্টা পরে তিনি ঘটনাস্থলে হাজির হন।"
সন্তোষ সং-এর বক্তব্য, পুলিশকে দোষ দেওয়ার জন্য নানা গল্প সাজানো হচ্ছে। যখন একটা মিথ্যা বার বার বলা হয়, অনেকে সত্যি ভেবে বিশ্বাস করে। এখনও পর্যন্ত আমরা ওই ছাত্রীকে হেনস্থার কোনও প্রমাণ পাইনি।