শেষ আপডেট: 11th March 2023 05:44
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ত্রিপুরায় ভোটপর্ব (Tripura election) মিটে গিয়েছে অনেক আগেই। নতুন সরকারের শপথ নেওয়া হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ থামেনি (post poll violence)। বাম-কংগ্রেস নেতাদের দাবি, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের কর্মীদের আক্রমণ করছে বিজেপি।
এরই মধ্যে উত্তর-পূর্বের ছোট্ট রাজ্যটিতে সন্ত্রাসের অভিযোগ জাতীয় রাজনীতিতে আলোচ্য হয়ে উঠেছে শুক্রবারের ঘটনায়। বাম ও কংগ্রেসের কয়েকজন সাংসদ সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় গেলে তাঁদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের গাড়ি ভাঙচুর, বোমা ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। সন্ত্রাসের মুখে কর্মসূচি বাতিল করে আগরতলায় ফিরে আসতে বাধ্য হন তাঁরা। ওই দলে রয়েছেন সিপিএমের বাংলার সাংসদ, রাজ্যসভার সদস্য বিকাশ ভট্টাচার্যও।
দুই সাংসদ সদস্য সহ বাম ও কংগ্রেস নেতাদের দলটি শুক্রবার আগরতলা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে ত্রিপুরার সেপাহিজালা জেলার নেহালচন্দ্রনগরে গিয়ে আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। আক্রমণকারীরা ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিতে দিতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিনিধি দলের কেউ আহত হননি।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী জানান, সাংসদ দলের দু’দিন ধরে সন্ত্রস্ত এলাকায় যাওয়ার কথা থাকলেও শনিবারের কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। তাঁরা রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। শনিবার রাজ্যপাল সময় দিলে তাঁরা রাজভবনে গিয়ে অভিযোগ জানাতে চান।
পুলিশের বক্তব্য, বাম ও কংগ্রেস নেতাদের নেহালচন্দ্রনগরে যাওয়ার কথা তাঁদের সফরসূচিতে ছিল না। তবে ঘটনাস্থলে কিছু মানুষ তাঁদের দেখে স্লোগান দেয়। ত্রিপুরা পুলিশের দাবি, তাদের তৎপরতায় দ্রুত প্রতিনিধিদলকে এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ অসত্য। সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে। অন্য দুষ্কৃতীদের শনাক্তকরণ ও গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।
জানা গিয়েছে, সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ এলারাম করিম এবং কংগ্রেসের লোকসভা সদস্য আবদুল খালেক সেপাহিজলার বিশালগড় এবং পশ্চিম ত্রিপুরার কিছু সন্ত্রস্ত এলাকায় গিয়েছিলেন। কংগ্রেসের লোকসভা সদস্য রঞ্জিতা রঞ্জন এবং সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ এ এ রহিম ও বিকাশ ভট্টাচার্য পশ্চিম ত্রিপুরার কলকালিয়া গ্রামে যান। তৃতীয় দলে ছিলেন সিপিএমের লোকসভার সাংসদ পিআর নটরাজন এবং বিনয় বিশ্বমের। তৃতীয় দলটি দুর্গাবাড়ি, ঊষাবাজার, কালিকাপুর এলাকায় কয়েকটি গ্রামে যায়। দলের সঙ্গে ছিলেন সিপিএমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এবং বিধানসভার প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার পবিত্র কর। সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় তাঁদের শাসক দলের হামলার মুখে পড়তে হয় হলে অভিযোগ করেছে সিপিএম-কংগ্রেস।
কেসিআর কন্যা কবিতাকে আজ জেরা করবে ইডি, গ্রেফতারের আশঙ্কা তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর