শেষ আপডেট: 8th February 2022 11:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রথমে বিধানসভা থেকে ইস্তফা। তারপর বিজেপির প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিল্লি চলে গিয়েছিলেন ত্রিপুরার বিক্ষুব্ধ নেতা সুদীপ রায় বর্মন ও আশিষ সাহা। সোমবার সকালেই দ্য ওয়ালের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছিল, সব ঠিকঠাক থাকলে শিগগিরই কংগ্রেসে ফিরতে চলেছেন সুদীপরা। হলও তাই। চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ঘরওয়াপসি হল সুদীপদের। রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর হাত ধরে কংগ্রেসে ফিরলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সমীর রায় বর্মনের ছেলে সুদীপ। কংগ্রেসে যোগ দিলেন বরদোয়ালির ইস্তফা দেওয়া বিধায়ক আশিষ সাহা। কংগ্রেসে ফিরে সুদীপ বলেন, 'আমার ডিএনএ-তে কংগ্রেস। ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে সংসদীয় রাজনীতির জীবন—সবটাই কংগ্রেসের জন্য। আজ পুরনো দলে ফিরতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে।' দ্য ওয়াল-এর তরফে সুদীপের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'আমি আজ রাহুল গান্ধী ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে বলেছি, আমি পাপ করেছিলাম। সেই প্রায়শ্চিত্ত আমি করব। ত্রিপুরা থেকে বিজেপির সরকারকে হঠাব।' সুদীপ আরও বলেন, '২০১৮-র আগে বিজেপির দেড় শতাংশ ভোট ছিল ত্রিপুরায়। আমরা যোগদান করেই কংগ্রেসের ভোটকে ওদিকে নিয়ে গিয়েছিলাম। এবার সেই ভোট কংগ্রেসে ফিরবে এবং নতুন সূর্যোদয় হবে।' বিপ্লব দেব সরকারের তীব্র সমালোচনা করে সুদীপ বলেন, যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকারে এসেছিল বিজেপি তার এক আনাও বাস্তবায়িত করতে পারেনি। উল্টে ত্রিপুরার গণতন্ত্রকে বিপন্ন করেছে। উনিশের লোকসভায় ত্রিপুরাজুড়ে নির্মম সন্ত্রাস হয়েছিল বলেও গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন ৬ আগরতলার ইস্তফা দেওয়া বিধায়ক। সুদীপ দীর্ঘদিনের কংগ্রেসি রাজনীতির পরিচিত মুখ। কিন্তু ২০১৬ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছিলেন তিনি। তারপর আবার ঠিক তার পরের বছর বিজেপিতে যোগ দেন। ২০১৮-র ভোটে নিজের পুরনো কেন্দ্র ৬ আগরতলা থেকে বিজেপির টিকিটে লড়ে জিতে মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। কিন্তু গোড়া থেকেই মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে তাঁর সংঘাত শুরু হয়ে গিয়েছিল।উনিশের লোকসভার পর মন্ত্রিসভা থেকে সুদীপকে সরিয়ে দেয় বিজেপি। তারপর বিপ্লব বনাম সুদীপ লড়াই ছিল ত্রিপুরার রাজনীতির রোজের কাহিনি। এতদিন দলের মধ্যে থেকেই বিদ্রোহ চালাচ্ছিলেন। এদিন পুরনো দলে যোগ দিলেন সুদীপ। সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতা অজয় কুমার বলেন, আরও দুই বিধায়ক দু’চারদিনের মধ্যেই যোগ দেবেন।