শেষ আপডেট: 2nd March 2023 07:42
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তামাম বুথ ফেরত সমীক্ষা আভাস দিয়েছিল, ত্রিপুরায় বিজেপির প্রত্যাবর্তন হতে চলেছে (Tripura Assembly Election)। এও বলা হয়েছিল বাম-কংগ্রেস জোট ১৪-১৭ আসনের মধ্যেই থাকবে। মেরেকেটে ডজনখানেক আসন পেতে পারে তিপ্রা মথা। বৃহস্পতিবার গণনা যখন মধ্যগগনে তখন দেখা যাচ্ছে মিলে যেতে চলেছে বুথ ফেরত সমীক্ষা।
বেলা সওয়া ১২টার খবর ত্রিপুরায় বিজেপি (BJP) ৩৪টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। বাম-কংগ্রেস জোট এগিয়ে আছে ১৪টি আসনে। প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মনের নতুন দল তিপ্রা মথা ১১টি আসনে এগিয়ে। একটিতে নির্দল প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন বলে খবর।
সকাল ১১টা পর্যন্ত বিজেপি ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে পারছিল না। ৬০ আসনের ত্রিপুরায় সরকার গড়তে গেলে লাগবে ৩১টি আসন। মোটামুটি ন’রাউন্ড গণনার শেষে দেখা যাচ্ছে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সরকার গড়তে পারে বিজেপি।
রাজনৈতিক মহলের অনেকে ধারণা করেছিলেন, বিজেপি যদি ম্যাজিক ফিগারের কম আসনে থেমে যায় তাহলে দর কষাকষির রাজনীতি শুরু করতে পারে মথা। কিন্তু বেলা সওয়া ১২টার যা ছবি তার বড় কোনও বদল না হলে মথার সামনে সেই সুযোগ থাকবে না।
সকালের দিকে দেখা গিয়েছিল, বেশ কয়েক রাউন্ড গণনা শেষে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা নিজের কেন্দ্রে কংগ্রেসের কাছে পিছিয়ে পড়েছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত তিনি জয়ী হয়েছেন।
বুথ ফেরত সমীক্ষাকে আজগুবি গল্প বলে উড়িয়ে দিয়েছিল বাম-কংগ্রেস। তারা বলেছিল, বিজেপি সংস্থাগুলোকে টাকা দিয়ে এই ফল দেখিয়েছে। আসলে ব্যালট বাক্সে মানুষ যে রায় দিয়েছেন তা সমীক্ষার সঙ্গে মিলবে না। কিন্তু দেখা গেল, বাম-কংগ্রেস নেতারা মানুষের মন বোঝেননি। মিলে যেতে চলেছে সমীক্ষার আভাসই।
এবার ত্রিপুরার ভোট নিয়ে কোনও সন্ত্রাসের অভিযোগ করেনি বিরোধীরা। বরং তারা বলেছিল, অবাধ ভোট হয়েছে তাই বিজেপির পরাজয় সুনিশ্চিত। বিপুল ভোটদানের হারকেও অনেকে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার প্রতিফলন হিসাবে দেখাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তা সম্ভবত মিলছে না।
বাজি ফাটছে, আবির উড়ছে, সাগরদিঘির ট্রেন্ড দেখেই উৎসব শুরু বাম-কংগ্রেসের