তাঁদের একজন শেখ জালালউদ্দিনর কথায়, “জলে নেমে প্রাণপণে সাঁতার কেটেছি। ভাবিনি ফিরে আসতে পারব...!”
ছবি-সংগৃহীত।
শেষ আপডেট: 5 July 2025 15:43
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রথের দিন রায়দিঘি থেকে গভীর সমুদ্রে ইলিশের (Hilsa) খোঁজে পাড়ি দিয়েছিল ‘ভাই ভাই’ নামে একটি মৎস্য-ট্রলার (Trawler)। গত আট দিন ধরে মাছ ধরে বাড়ি ফেরার পথে শনিবার উল্টোরথের দিনে মাঝসমুদ্রে ঘটে গেল বিপর্যয়।
আচমকাই ছিঁড়ে যায় ট্রলারটির পাটাতন। মুহূর্তের মধ্যে জলে তলিয়ে যায় ট্রলারটি। তবে ভাগ্য সহায় থাকায় প্রাণে রক্ষা পান সকল ১৩ জন মৎস্যজীবী (saved 13 fishermen)। তাঁদের একজন শেখ জালালউদ্দিনর কথায়, “জলে নেমে প্রাণপণে সাঁতার কেটেছি। ভাবিনি ফিরে আসতে পারব...!”
ডুবে যাওয়া ট্রলারের নাম 'ভাই ভাই'। মাঝি কার্তিক দাস। ট্রলারটির মালিক নাসির আলি সেখ। ঘটনার সময় গভীর সমুদ্রে কাছেই ছিল আরেকটি ট্রলার — ‘আব্বা মায়ের দোয়া’। সেখান থেকেই মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করে ফিরিয়ে আনা হয় উপকূলে।
ট্রলার মালিক নাসির আলি সেখ জানালেন, “ভাল মাছ ধরা পড়ছিল। ট্রলার ভর্তি ইলিশ ছিল। সব গেল জলে। তবে প্রাণে বেঁচেছে আমার মানুষগুলো, সেটাই বড়।”
ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা উপকূল এলাকায়। সমুদ্রে রুটিরুজির খোঁজে নামা মৎস্যজীবীরা চিন্তিত। অনেকেই বলছেন, একটুর জন্য বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত।
মৎস্যজীবী ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট অলক হালদার বলেন, “এই ঘটনায় আমরা মৎস্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধারে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস মিলেছে। পাশাপাশি, ক্ষতিগ্রস্ত মালিকের যাতে কিছু ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায়, সেই দাবিও জানানো হয়েছে।”
তবে প্রশ্ন উঠছে, ট্রলারের পাটাতন কীভাবে আচমকা ছিঁড়ে গেল? রক্ষণাবেক্ষণের অভাব, নাকি অতিরিক্ত বোঝাই? বিষয়টি খতিয়ে দেখছে প্রশাসন। রায়দিঘি উপকূলে আপাতত স্বস্তি — সকলেই ফিরে এসেছেন। তবে এই ঘটনার পর থেকে সমুদ্রে নামা নিয়ে ভয় ঢুকে পড়েছে অনেকের মনে।