Date : 10th Jul, 2025 | Call 1800 452 567 | info@thewall.in
এখনই পাওয়া যাবে না রোদের ঝলক! নাছোড় বৃষ্টিতে আরও ভিজবে রাজ্যএকজন ৪৪, অন্যজন মাত্র ২৩! রাজস্থানে যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় মৃত দুই পাইলটের পরিচয় প্রকাশ্যেপিএসজির চার তোপে পুড়ে ছাই রিয়াল মাদ্রিদ! ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে এনরিকে বাহিনী'আমি নোবেল পাওয়ার যোগ্য', দাবি কেজরিওয়ালের! বিজেপি বলছে, এর থেকে হাস্যকর কিছু হয় নাস্বাধীনতা সংগ্রামীরা ‘সন্ত্রাসবাদী’! বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্র ঘিরে বিতর্কগুজরাত সেতু বিপর্যয়: ১ ঘণ্টা ধরে চিৎকার করেছিলেন, নিজে বাঁচলেও স্বামী-সন্তান হারালেন মহিলাপচা খাবার, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ! শিব সেনা বিধায়কের মারধরের পর লাইসেন্স বাতিল ক্যান্টিনের'মমতার নামে দুর্নীতির মামলা নেই,' দিল্লিতে বৈঠক সেরে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বললেন দিলীপহাসিনাকে নিয়ে বিবিসি'র রিপোর্ট অসত্য, বিকৃত, এআই দিয়ে তৈরি, দাবি আওয়ামী লিগেরগুজরাতে সেতু ভেঙে নদীতে পড়ল গাড়ি, মৃত বেড়ে ১১, শোকপ্রকাশ ইউনুসের
Trawler Accident

দুর্যোগ উপেক্ষা করে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ডুবল ২টি ট্রলার! প্রাণে বাঁচলেন ২৯ জন মৎস্যজীবী

দক্ষিণ ২৪ পরগনার জম্বু দ্বীপ থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। তখন বঙ্গোপসাগর (Bay Of Bengal) ছিল ভয়ানক উত্তাল। বাতাস জোরে বইছিল, সমুদ্রে বড় বড় ঢেউ উঠছিল। এর মধ্যেই শুরু হয় ট্রলার ডোবার আতঙ্ক। 

দুর্যোগ উপেক্ষা করে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ডুবল ২টি ট্রলার! প্রাণে বাঁচলেন ২৯ জন মৎস্যজীবী

প্রতীকী ছবি (গুগল)

শেষ আপডেট: 21 June 2025 17:40

দ্য ওয়াল ব্যুরো: বঙ্গোপসাগরে ঝড়-জলের মধ্যে মাছ ধরতে গিয়ে পরপর দু’টি ট্রলার (Trawler capsizes in Bay of Bengal) দুর্ঘটনার কবলে পড়ল। তবে সৌভাগ্যবশত দুটি ট্রলারেই থাকা ২৯ জন মৎস্যজীবী প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন। শনিবার ভোররাতে প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) নামখানার দশ মাইল ঘাট থেকে বেরোনো একটি ট্রলারে। ‘এফবি শাকিলা’ নামের ওই ট্রলারে ১৩ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। মাছ ধরতে গিয়ে মাঝসমুদ্রে ট্রলারটির তলায় ফাটল ধরে। সেই ফাটল দিয়ে জল ঢুকে ট্রলারটি ডুবতে শুরু করে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার জম্বু দ্বীপ থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। তখন বঙ্গোপসাগর (Bay Of Bengal) ছিল ভয়ানক উত্তাল। বাতাস জোরে বইছিল, সমুদ্রে বড় বড় ঢেউ উঠছিল। এর মধ্যেই শুরু হয় ট্রলার ডোবার আতঙ্ক। ১৩ জন মৎস্যজীবী প্রাণপণে চিৎকার করতে থাকেন। তাঁদের আর্তনাদ শুনে কাছেই থাকা অন্যান্য ট্রলার দুর্ঘটনাস্থলে এসে পড়ে। দ্রুত তৎপরতার সঙ্গে তারা একে একে সব মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করে। জানা গিয়েছে, ওই ট্রলারে করে তাঁদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে নামখানায়।

ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারমেন অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, ‘‘সমুদ্র এতটাই উত্তাল ছিল যে ট্রলারের নিচের অংশ ফেটে জল ঢুকতে শুরু করে। তবে ভাল খবর এই যে, সবাইকে উদ্ধার করা গেছে।’’ মৎস্যজীবীরা বেঁচে ফিরছেন, এই খবর পেয়ে হাঁফ ছেড়েছেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও।

একই দিনে, আরেকটি দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায় বঙ্গোপসাগরে। ‘এফবি মা দুর্গা’ নামের একটি ট্রলার ইলিশ ধরতে গিয়ে সমুদ্রের ঢেউয়ের মুখে পড়ে। জানা গিয়েছে, ট্রলারটিরও তলার কাঠ ফেটে গিয়ে জল ঢুকতে শুরু করে। ঘটনাটি ঘটে কেঁদো দ্বীপের কাছে। ওই ট্রলারে ১৬ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। তাঁরাও আতঙ্কে পড়ে যান, কারণ ট্রলারটি ক্রমশ ডুবে যাচ্ছিল।

তবে এখানেও কাছে থাকা অন্যান্য ট্রলার দ্রুত এগিয়ে এসে ১৬ জনকেই উদ্ধার করে। তাঁরা এখন পাথরপ্রতিমা ঘাটে ফিরছেন বলে খবর।
মৎস্যজীবী সংগঠনের নেতা সতীনাথ পাত্র জানান, ‘‘এই ট্রলারটি শুক্রবারই নামখানা থেকে রওনা হয়েছিল। সৌভাগ্যবশত, এই ট্রলারেও কেউ নিখোঁজ নেই।’’

গত কয়েকদিন ধরে আবহাওয়া দফতর (Weather Department) সমুদ্রকে বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করেছিল। সতর্কতা জারি করে বলা হয়েছিল, যেন কেউ সমুদ্রে না যান। কিন্তু সেই সতর্কতা না মেনেই মৎস্যজীবীরা রওনা দেন মাছ ধরতে। আর তার ফলেই ঘটে এই দুটি দুর্ঘটনা।


ভিডিও স্টোরি