শেষ আপডেট: 22nd September 2021 11:02
ব্রিটেনে কোভিশিল্ডে অনুমোদন, কিন্তু কোয়ারান্টাইন থেকে কি রেহাই পাবেন ভারতীয়রা?
দ্য ওয়াল ব্যুরো : গত বুধবার অক্সফোর্ড (Oxford) অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড অনুমোদন করেছে ব্রিটেন। কিন্তু এখনও পরিষ্কার জানা যাচ্ছে না, কোভিশিল্ডের দু'টি ডোজ নিয়ে ভারত থেকে কেউ ব্রিটেনে গেলে তাকে কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে কিনা। ব্রিটেনের ট্রাভেল গাইডলাইন সম্প্রতি সংশোধন করা হয়েছে। এর আগে ভারতের কো-উইন সার্টিফিকেট নিয়ে ব্রিটেন আপত্তি তুলেছিল। আগামী দিনে তারা কো উইন সার্টিফিকেটকে স্বীকৃতি দেবে কিনা স্পষ্ট নয়। আগামী ৪ অক্টোবর ভোর চারটে থেকে ব্রিটেনে চালু হচ্ছে নতুন গাইডলাইন। যেহেতু সেদেশে কোভিশিল্ডকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, তাই নিয়মমতো কেউ ওই ভ্যাকসিনের দু'টি ডোজ নিলে তাকে কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে না। কিন্তু একটি সূত্রে খবর, ব্রিটিশ সরকার এখনও কো-উইন সার্টিফিকেটকে স্বীকৃতি দিতে রাজি নয়। সুতরাং কেউ কোভিশিল্ডের দু'টি ডোজ নিয়ে ব্রিটেনে গেলে কোয়ারান্টাইনের হাত থেকে রেহাই পাবে কিনা স্পষ্ট নয়। প্রশ্ন হল, ভ্যাকসিন না নিয়েও কি কেউ ব্রিটেনে যেতে পারে? এর উত্তর হল, নিশ্চয় পারে। কিন্তু ব্রিটেনগামী বিমানে ওঠার আগে তাদের কোভিড টেস্ট করাতে হবে। দ্বিতীয়ত, ব্রিটেনে পৌঁছানোর পরে দ্বিতীয় এবং অষ্টম দিনে তাদের কোভিড টেস্ট করাতে হবে। সেই খরচ দিতে হবে তাদেরই। ব্রিটিশ সরকার যদি কো-উইনের সার্টিফিকেট অনুমোদন না করে, তাহলে টিকা নিয়ে যাওয়া বা না নিয়ে যাওয়ার মধ্যে বিশেষ পার্থক্য থাকছে না। প্রত্যেককেই বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে। এই নতুন বিধি কার্যকরী হওয়ার কিছু দেরি আছে। পর্যবেক্ষকদের ধারণা, তার আগে দুই দেশের প্রতিনিধিরা আলোচনা করে একটা সমাধানসূত্র বার করবেন। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে নিউইয়র্কে আছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি আলোচনার ফাঁকেই নবনিযুক্ত ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রী লিজ ট্রাসের সঙ্গে কথা বলেন। বৈঠকের পর ট্যুইট করেন, পারস্পরিক স্বার্থে কোয়ারান্টিন ইস্যুর দ্রুত মীমাংসা চেয়েছি। ব্রিটেন বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানান বিদেশমন্ত্রী। তবে পাল্টা এদেশে আসা ব্রিটিশ পর্যটকদের ক্ষেত্রেও একই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে, ইঙ্গিত দেন তিনি। ব্রিটেনেও একই ভ্যাকসিন স্বীকৃতি পেয়েছে, সেদেশের হেলথ সিস্টেমেও তার ব্যবহার হচ্ছে, তারপরও কেন ব্রিটিশ স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিল, সেব্যাপারে কোনও পূর্ণাঙ্গ তথ্যও সামনে আসেনি। ভারতীয় নাগরিকরা এতে প্রবল অসন্তুষ্ট।