শেষ আপডেট: 26th September 2024 13:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পর থেকেই দেশজুড়ে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠে গেছে। ডাক্তার-ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় সুপ্রিম কোর্টও চরম উদ্বেগ প্রকাশ করে। একই সঙ্গে শীর্ষ আদালত পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে একাধিক নির্দেশ দিয়েছিল হাসপাতালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলে। রাজ্যের প্রথম জেলা হিসেবে পশ্চিম মেদিনীপুর সেই নির্দেশ পালনে তৎপর হয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের পরিচালনায় শুরু হয়েছে চারদিন ব্যাপী এক কর্মসূচি, যেখানে সকল সাবডিভিশনাল ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত সুরক্ষা কর্মীদের ও সুরক্ষা সম্পর্কিত দফতরদের নিয়ে হাসপাতাল সম্পর্কিত সুরক্ষা প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার এবং জেলাশাসক খুরশেদ আলি কাদরীর নেতৃত্বে আয়োজন করা হয়েছিল এই প্রশিক্ষণ শিবির। সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিভিন্ন হাসপাতালের সুরক্ষা প্রদানকারী কর্মী থেকে নিরাপত্তাকর্মী, সুপারভাইজার, পুলিশ কর্মী, ফায়ার সার্ভিস দফতরের কর্মীরা। এছাড়াও স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা, মেডিক্যাল অফিসার, স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারী বিভাগ, প্রখ্যাত মনস্তত্ত্ববিদ ও অন্যান্য সুরক্ষা প্রদান সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বরাও এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন।
জেলায় ৬টি সরকারি হাসপাতাল ছাড়া প্রায় সব বেসরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের সুরক্ষায় তাঁরা যে সর্বদা তৎপর তাই জানিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ এবং প্রশাসন। তাই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো তাঁরা ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় সব রকম ব্যবস্থা যে নেবে সেটাই স্পষ্ট করেছে জেলা পুলিশ।
সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা নিয়ে কয়েক দফা নির্দেশ দিয়েছিল। তাদের মধ্যে অন্যতম, মহিলা এবং পুরুষ চিকিৎসকদের পৃথক বিশ্রামাগার থাকতে হবে। নার্সদের আলাদা রুম দিতে হবে। প্রত্যেক হাসপাতালে চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে হবে। পাশাপাশি, প্রতিটি হাসপাতালের করিডোরে সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে হবে। এই প্রশিক্ষণ শিবিরের পর জেলার হাসপাতালের নিরাপত্তা আরও কঠোর হবে বলেই আশা করা হচ্ছে।