প্রতীকী ছবি।
শেষ আপডেট: 25 November 2024 15:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এবার খাস কলকাতার উপকণ্ঠ থেকে এক গৃহবধুকে পাচার করার গুরুতর অভিযোগ উঠল। নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার ঘটনা। সোমবার এব্যাপারে বড় নির্দেশ শুনিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে মামলা গড়িয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। ওই মামলায় এদিন সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ জুন সকাল ৮ টার পর থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান নরেন্দ্রপুর থানা এলাকারা বাসিন্দা পবন কুমার ঝায়ের স্ত্রী অর্চনা। চারিদিকে খোঁজখবর করেও স্ত্রীকে না পেয়ে পরের দিন অর্থাৎ ৩০ জুন নরেন্দ্রপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন পবন।
আদালতে তাঁর আইনজীবীর অভিযোগ, নিখোঁজ ডায়েরি করার পর দীর্ঘদিন কেটে গেলেও তাঁর স্ত্রীকে উদ্ধারে কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। পবনের আরও অভিযোগ, পরবর্তীতে তিনি স্থানীয় সূত্রে জানতে পারেন, সাগর শেখ ও চন্দ্রেশ কুমার নামে দুই ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে কোনওভাবে ফুঁসলিয়ে নিয়ে গিয়েছে। সাগর ও চন্দ্রেশ ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা নন বলেও দাবি। পরবর্তীতে ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রীকে অপহরণের অভিযোগও দায়ের করেছেন পুলিশ। কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করছে না বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে তাই তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
সোমবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে রাজ্যের তরফে আদালতে জা্নানো হয়, ৪২ বছরের ওই মহিলাকে খোঁজ চলছে। কিন্তু তাঁকে এখনও উদ্ধার করা যায়নি। রাজ্যের তরফে আরও জানান হয় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হলেও তারা বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন।
নরেন্দ্রপুর থানার তরফে আরও জানান হয় ওই মহিলাকে পাচার করা হয়ে থাকতে পারে। এক্ষেত্রে সিআইডি তদন্ত হলে পুলিশের কোনও আপত্তি নেই। রাজ্যের কাছ থেকে এই বক্তব্য শোনার পরই বিচারপতি ঘোষ নির্দেশে জানিয়ে দেন, এক্ষেত্রে পুলিস যেহেতু পাচার হয়ে যাওয়ার সন্দেহ করছে তাই এখন এই মামলার তদন্ত করবে সিআইডি। এরপরই সিআইডির অ্যান্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিটকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি। এছাড়াও অভিযুক্তরা যাতে মামলাকারীর পরিবারকে কোনওভাবে ভীতি প্রদর্শন না করতে পারে, সেই বিষয়টি নরেন্দ্রপুর থানাকে নিশ্চিত করার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।