শেষ আপডেট: 6th September 2024 16:07
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ৯ অগস্ট থেকে তিনি খবরের শিরোনামে। তদন্তভার গ্রহণের পর থেকে ১৬ দিনের ম্যারাথন জেরা শেষে গত ২ সেপ্টেম্বর আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। আপাতত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে থাকা সন্দীপের বিরুদ্ধে মেডিক্যালের বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। নতুন নতুন সম্পত্তির হদিশ পাচ্ছেন গোয়েন্দারা। এমন আবহে স্বামীর হয়ে এবার ব্যাট ধরলেন স্ত্রী।
শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখোমুখি হয়ে সন্দীপ ঘোষের স্ত্রী বললেন, "স্বামীর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে।" যত ধরনের ইনভেস্টিগেশন সংস্থা রয়েছে, তাঁদের কো-অপারেট করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীর ধর্ষণ-খুনের সূত্র ধরে সামনে এসেছে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ। আদালতের নির্দেশে ওই দুর্নীতিরও তদন্ত করছে সিবিআই। তবে সন্দীপ-পত্নীর দাবি, "এখনও সন্দীপের বিরুদ্ধে কিছু পাওয়া যায়নি। আগামীদিনেও কোনও কাগজ পাবেও না। কারণ উনি কোনও দুর্নীতি করেননি।" বেশ জোরের সঙ্গেই এদিন কথাগুলি বলেছেন সন্দীপ ঘোষের স্ত্রী। যা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে জনমানসেও।
প্রসঙ্গত, সন্দীপ ঘোষের স্ত্রী এদিন তদন্তকারীদের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে দাবি করলেও তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, শুরু থেকেই নানাভাবে অসহযোগিতা করে চলেছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। এমনকী প্রথমে সিবিআই তলবেও সাড়া দেননি তিনি। বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গেলে সিবিআইকে টানা ৭৫ মিনিট বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগও রয়েছে সন্দীপের বিরুদ্ধে।
স্বভাবতই, সন্দীপের স্ত্রীর বলা 'কোনও কাগজ পাবে না', মন্তব্য নিয়েও চর্চ্চা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। প্রশ্ন উঠছে, "তিনিই বা এতটা জোর দিয়ে একথা বলছেন কী করে?"
ডাক্তারি ছাত্রী খুনের সূত্র ধরেই সামনে এসেছে আরজি কর মেডিক্যালের বিস্তর দুর্নীতির প্রসঙ্গও। ১ বছর আগে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে টেন্ডার দুর্নীতি থেকে লাশ পাচার, একাধিক অভিযোগে সরব হওয়ার জেরে আরজিকর থেকেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন বহরমপুর মেডিক্যালে অতিরিক্ত সুপার তথা আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন আখতার সাহেব। সেই সূত্রে আদালতের নির্দেশে আরজি করের দুর্নীতিরও তদন্ত করছে সিবিআই।
সূত্রের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির মতো আরজি করেও বিস্তর দুর্নীতি হয়েছে। যাতে অনেক প্রভাবশালীর যোগ থাকতে পারে।