শেষ আপডেট: 19th October 2024 13:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশনের ১৫ তম দিনে ধর্মতলার মঞ্চে টলিউডের কলাকুশলীরা। শনিবার সকাল ১১ টা থেকে প্রতীকী অনশনে যোগ দিলেন অভিনেত্রী চৈতি ঘোষাল, বিদিপ্তা চক্রবর্তী, দেবলীনা দত্তরা। সঙ্গে রয়েছেন পরিচালক বীরসা দাশগুপ্তও।
শনিবার সকাল ১১ টা থেকে রবিবার সকাল ১১টা অবধি ২৪ ঘণ্টা প্রতীকী অনশনে সামিল হয়েছেন শিল্পীরা। প্রত্যেকেই জানিয়েছেন, জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়াতে এবং নির্যাতিতার সুবিচারের আশায় এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি প্রশাসনকেও একহাত নিয়েছেন টলি পাড়ার শিল্পীরা।
আরজি কর কাণ্ডে সুবিচারের দাবিতে প্রথম থেকেই ডাক্তারদের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতেও দেখা গিয়েছে। শনিবার অনশন মঞ্চে পৌঁছে অভিনেত্রী চৈতি ঘোষাল জানান, ডাক্তারদের সবকটা দাবিই ন্যায্য। নিজেদের জন্য নয়, সব মানুষের হয়ে প্রতিবাদের দাবি জানাচ্ছেন। সে কারণেই সবকিছু ভুলে ওঁদের কাছে আসা।
চৈতির অভিযোগ, সরকার সবকিছু জানলেও কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তিনি হুঁশিয়ারি দেন আজ যদি কোনও খারাপ ঘটনা ঘটে তার দায় নিতে হবে সরকারকেই।
অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত জানান, সাধারণ মানুষের ভোটেই ক্ষমতায় এসেছে সরকার। তাহলে সাধারণ মানুষকে সমস্যার কথা কেন জানাতে হবে? সরকারের উচিত ছিল সুবিচারের দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে নেওয়া। কিন্তু সেটা হয়নি। যে সমস্যার সমাধান একদিনে হয়ে যায় তা মেটাতে ১৫ দিন আমরণ অনশন! এটা মেনে নেওয়া যায় না।
অন্যদিকে অভিনেত্রী বিদিপ্তা চক্রবর্তী জানান, আমরা অন্যায্য কিছু চাইছি না। প্রথম থেকেই ওঁদের সঙ্গে আছি। আমার কোনওভাবেই ডাক্তারদের দাবিকে অযৌক্তিক মনে হচ্ছে না। আজ থেকে ২৪ ঘণ্টা অনশন শুরু করেছি। আগামীতে পরিস্থিতি কেমন থাকে তা দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। তিনি আরও জানিয়েছেন, আমরা প্রয়োজনে শুধু জল আর ওষুধ ছাড়া কিছুই খাব না।
প্রথম থেকেই জুনিয়র ডাক্তাররা দাবি করে আসছেন তাঁদের আন্দোলন পুরোপুরি অরাজনৈতিক। সে কারণে সমাজের সমস্ত শ্রেণির মানুষকেই পাশে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থন জানাতে ইতিমধ্যে পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন বহু মানুষ। শনিবারই সোদপুর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত ‘ন্যায়বিচারের’ দাবিতে মিছিলের কথা রয়েছে। পাশাপাশি কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তেও এদিন বেশ কয়েকটি প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে।
রাজ্যের তরফে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ দফা দাবির মধ্যে ৭টি মেনে নিলেও বাকি তিনটির কোনও সময়সীমা বেঁধে দেওয়া সম্ভব নয়।