শেষ আপডেট: 8th February 2024 16:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ‘ফিউ মোর আওয়ার্স’, দেবের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট নিয়ে রীতিমতো সরগরম হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। একসঙ্গে তিনটি পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে এমনিতেই কৌতূহল বাড়িয়েছেন তৃণমূলের অভিনেতা-সাংসদ দেব। ফের লোকসভা ভোটে আসছে। তার অনেক আগেই দেব বলছিলেন, ফের প্রার্থী হব কিনা ভাবিনি। আর আজ লোকসভায় দাঁড়িয়েই দেব বললেন, “সংসদে আজ আমার শেষ দিন। ধন্যবাদ দিদি, ধন্যবাদ ঘাটালবাসী।” সেখানেই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কথা আবারও তুলে ধরলেন তিনি।
View this post on Instagram
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে আবারও প্রার্থী হবে কিনা, সেই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। তার মধ্যেই এদিন সংসদে ঘাটালের সমস্যার কথা তুলে ধরলেন তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা দেব। লোকসভা নির্বাচনের আগে বৃহস্পতিবার সংসদের শেষ অধিবেশন। সেখানেই দেব বলেছেন আজ সংসদে তাঁর শেষ দিন। সেই সঙ্গে তিনি এও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি থাকেন বা না থাকেন, ঘাটালের মানুষের সমস্যার কথা যে গুরুত্ব দিয়ে শোনা হয়। কথা প্রসঙ্গে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কথাও বার বার বলেছেন সাংসদ দেব।
দেবের কথায়, “ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে প্রথম বার সংসদে কথা বলেছিলাম। আজ সংসদে শেষ দিন আমার। ১৯৫০ সাল থেকে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে টানাপড়েন চলছে। ঘাটালের মানুষ কষ্টে আছেন।প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই, এটা তৃণমূল বা বিজেপি-র সমস্যা নয়, সাধারণ মানুষের সমস্যা।”
ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে দেব আরও বলেন, "দলগত মতামত বা পার্টির মতকে সরিয়ে রেখে সরকার যেন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কার্যকর করে। প্রতি বছর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হন সাধারণ মানুষ। ঘাটালের বন্যাবিধ্বস্ত মানুষজন কষ্টে আছেন। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে মানুষ যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা যেন সত্যি হয়। আমি সাংসদ থাকি না থাকি, ঘাটালের মানুষের কষ্ট যেন দূর হয়।”
গত শনিবার আচমকাই সাংসদ হিসেবে তিনটি প্রশাসনিক পদ থেকে ইস্তফা দেন দেব৷ সাংসদ হিসেবে ঘাটাল হাসপাতালের রোগী কল্যাণ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন দেব৷ সেই পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি৷ এ ছাড়াও ঘাটাল কলেজের সভাপতি এবং বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন দেব৷
তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য দেবকেই আগামী লোকসভা নির্বাচনে ঘাটাল থেকে ফের প্রার্থী করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে দু’দফায় দেবকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন তা অনেকেরই জানা। তার পর সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বৈঠকেও উপস্থিত ছিলেন দেব। সেই বৈঠকের পর আবার অনেকের ধারণা হয়েছিল যে দেব ফের প্রার্থী হতে সম্মত হয়েছেন। তা ছাড়া দেব ঘাটাল সংক্রান্ত তিনটি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর শাসক দলের মধ্যে এই জল্পনাও রয়েছে যে দেবকে রাজ্যসভায় পাঠানোর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সবমিলিয়ে বিষয়টি তাই এক অনিশ্চিয়তার মধ্যেই রয়েছে।