শেষ আপডেট: 30th September 2023 14:10
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাত থেকেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের জেরে আগামী কয়েকদিন দুর্যোগের আবহ অব্যাহত থাকার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে দুর্যোগের মাঝেও নেতাজি ইন্ডোরে শুক্রবার সন্ধে থেকেই অন্য ছবি। রাতভর রান্না, খাওয়া, বিশ্রামের পর সকাল থেকে দিল্লি যাওয়ার শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত তৃণমূল কর্মীরা।
এই মুহূর্তে বাসের অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, শনিবার দুপুরে নেতাজি ইন্ডোর থেকে প্রায় ৫০টি বাস একসঙ্গে সড়ক পথে রাজধানী দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবে। আসানসোল, ধানবাদ, বারাণসী, আগ্রা হয়ে সড়ক পথে দিল্লি পৌঁছবেন আন্দোলনকারীরা। প্রতিটি বাসে থাকছে চিকিৎসক সহ মেডিক্যাল টিম। দীর্ঘ ১৬০০ কিমির পথে আপৎকালীন চিকিৎসা পরিষেবার জন্যই এমন ব্যবস্থা বলে দলীয় সূত্রের খবর। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বঞ্চিত প্রাপকদের পাশাপাশি বাসে থাকবেন দলের নেতৃত্বও।
২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে ২ ও ৩ অক্টোবর 'দিল্লি চলো' কর্মসূচির ঘোষণা করেছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কর্মীদের নিয়ে যাওয়ার জন্য রেলের কাছে স্পেশ্যাল ট্রেনের আর্জি জানিয়েছিল তৃণমূল। শুক্রবার সন্ধেয় রেলের তরফে শেষ মুহূর্তে ট্রেন দিতে না পারার কথা জানানো হয়। তখনই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, রেল ট্রেন না দিলেও দিল্লি অভিযান হবেই। প্রয়োজনে সড়ক পথে কর্মীদের দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে।
সূত্রের খবর, শেষ মুহূর্তে রেলের তরফে ট্রেন বাতিলের কথা জানানোয় কিছুটা বিপাকে পড়তে হয় তৃণমূল নেতৃত্বকে। প্রথমে ঠিক ছিল, শনিবার সকালেই বিশেষ বাসে করে রওনা দেবেন কর্মীরা। কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় জাতীয় পরিবহণ অনুমতির বিষয়টি।
দলের রাজ্যস্তরের এক নেতার কথায়, “অল ইন্ডিয়া পারমিট রয়েছে, এমন বাসের খোঁজ করতে কিছুটা সময় লাগছে। সেকারণেই সকালের পরিবর্তে দুপুরের দিকে সবকটি বাস এক সঙ্গে রওনা দেবে।” দলীয় সূত্রের খবর, পথে কোথাও যাতে কোনও ধরণের বাধার মুখে পড়তে না হয়, তাই সবকটি বাসকে একসঙ্গে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাসে থাকবেন দলের শীর্ষ নেতৃত্বও।
অন্যদিকে পূর্ব রেলের তরফে দাবি করা হয়েছে, নিয়ম মেনে তাঁদের আবেদন না জানানোর কারণেই ট্রেন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। একই কথা শুনিয়েছেন বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। শমীকের দাবি, “জানতে পেরেছি, তৃণমূলের তরফে আইআরটিসি-র কাছে ট্রেন চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু আইআরটিসি আর রেল তো এক নয়। সঠিক নিয়ম মেনে আবেদন করলে নিশ্চয়ই ট্রেন পেত।”
পাল্টা হিসেবে তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, "এসব ছেঁদো কথার কোনও ভিত্তি নেই। আসলে তৃণমূল নামটাই বিজেপির কাছে আতঙ্কের। বিজেপি ভেবেছিল, ট্রেন বাতিল করে তৃণমূলের আন্দোলন থামিয়ে দেবে। কিন্তু তৃণমূলের আন্দোলনকে এভাবে থামানো যায় না, সেটা আরও একবার প্রমাণ করবেন বাংলার মানুষ।"