শেষ আপডেট: 28 December 2023 23:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লোকসভা ভোটের আগে ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের মধ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে ইতিমধ্যে সলতে পাকানো শুরু হয়েছে। তারই মধ্যে বৃহস্পতিবার তৃণমূলের কর্মিসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি মন্তব্য করে নতুন জল্পনা শুরু হল। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত দেগঙ্গায় এদিন দলীয় কর্মিসভায় মমতা বলেন,“ইন্ডিয়া জোট সারা ভারতবর্ষে থাকবে। আর বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস লড়াই করবে।" তাঁর কথায়, “মনে রাখবেন বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসই বিজেপিকে শিক্ষা দিতে পারে। সারা ভারতবর্ষকে পথ দেখাতে পারে। অন্য কোনও পার্টি নয়।"
তৃণমূলনেত্রীর এ কথা শুনে প্রশ্ন উঠতেই পারে, তবে কি বাংলায় একাই লড়বে জোড়াফুল? কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করবে না? নাকি কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা অঙ্কুরেই ভেস্তে গেল!
আবার এও বিশ্লেষণও অস্বাভাবিক নয় যে, আসন সমঝোতার আগে তৃণমূলের তরফ থেকে একটা চাপ তৈরি করা হচ্ছে কংগ্রেসের উপর।
তবে পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, ব্যাপারটা হয়তো তেমন কিছু না। মমতার এহেন মন্তব্যের কার্যকারণ ভিন্ন। তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, বাংলায় বিজেপি বিরোধী মুখ তিনিই। বাংলায় তিনিই ইন্ডিয়া। কারণ বাংলায় একার ক্ষমতায় তৃণমূলই পেরেছে বিজেপিকে রুখে দিতে।
লোকসভা ভোটে বাংলায় সংখ্যালঘু ভোটের বাটোয়ারা রুখে দেওয়ার জন্যই মূলত কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে আগ্রহী তৃণমূল। কারণ, তৃণমূলের নেতারা মনে করেন, তাতে সামগ্রিক ভাবে সংখ্যালঘুদের মধ্যে একটা বার্তা যেতে পারে। ফলে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের পক্ষে সংখ্যালঘু ভোটে মেরুকরণ তাতে নিশ্চিত হতে পারে।
এদিন মমতা কোথায় একথা বলেছেন, তাও বিচার্য বিষয়। দেগঙ্গা বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। সেখানে প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারে অনেক আগে থেকে হম্বিতম্বি করছেন নওসাদ সিদ্দিকিরা। তৃণমূল এই বিভাজনটাও ঠেকাতে চাইছে। অনেকের মতে, সেই কারণেই মমতা এদিন দেগঙ্গায় দাঁড়িয়ে বলেছেন, তৃণমূল একাই পারে বিজেপিকে রুখে দিতে। সেই সঙ্গে মানুষকে সতর্ক করে বলেছেন, বিজেপির থেকে টাকা নিয়ে যারা ভোট ভাগের চেষ্টা করবে তাদের থেকে সাবধান থাকুন।