শেষ আপডেট: 3rd March 2025 15:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভুয়ো ভাটার (Fake Voters) ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) ওপর আরও চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল (TMC)। ভোটার কার্ড ইস্যুতে সম্প্রতি কমিশনের পক্ষ থেকে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে তার তীব্র বিরোধিতা করেছে বাংলার শাসক দল। দিল্লি থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলের তরফে স্পষ্ট দাবি করে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনকে নিজেদের ভুলের দায় স্বীকার করতে হবে। নাহলে এই সংক্রান্ত আরও নথি প্রকাশ্য আনবে তাঁরা।
সোমবার দিল্লিতে এই ইস্যুতে সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ, ডেরেক ও ব্রায়েন, লোকসভার সাংসদ কীর্তি আজাদ। তাঁরা বেশ কিছু সচিত্র ভোটার কার্ড দেখান সকলকে যেখানে দেখা গেছে ওই কার্ডগুলিতে একই এপিক নম্বর লেখা রয়েছে। তৃণমূলের দাবি, এই ভোটার কার্ডগুলি বেশিরভাগই বিজেপি শাসিত রাজ্যের। এই কার্ডগুলি ব্যবহার করেই একজন ব্যক্তি অন্যজনের হয়ে ভোট দিয়ে দিচ্ছেন। তাঁরা চান, বাংলার বাসিন্দারাই বাংলায় ভোট দিন।
নির্বাচন কমিশন এই বিষয়টি মেনে নিয়েছে যে, একই এপিক নম্বরে একাধিক রাজ্যে ভোটার আইডি কার্ড রয়েছে। তবে তাঁদের সাফ কথা, একই এপিক নম্বর থাকা মানেই সেটি ভুয়ো ভোটার কার্ড নয়। কমিশনের এই যুক্তি মানতে নারাজ তৃণমূল। পাল্টা তাঁদের দাবি, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচন কমিশন তাঁদের 'ভুলের দায়' স্বীকার না করলে তাঁরা আরও নথি প্রকাশ করবে।
ডেরেকের বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনের প্রশংসা করবেন কারণ তাঁরা ভুলটা অন্তত স্বীকার করেছে। তবে এই ভুলের দায়ও তাঁদের নিতে হবে। এই বিষয়টিকে দুর্নীতি বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে, এই ইস্যুতে তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা। যদিও আপাতত নির্বাচন কমিশন তাঁদের যুক্তিতে অনড় রয়েছে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তাঁরা বলেছে, একই এপিক নম্বর হলেও রাজ্য এবং ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী, ভোটারের ঠিকানা, বিধানসভা কেন্দ্র এবং ভোট কেন্দ্র আলাদা। তবে কমিশন এটাও স্পষ্ট করেছে, এপিক কার্ডে যে কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় নাম থাকবে সেখানেই ভোট দেওয়া যাবে। অন্য কোথাও ভোট দিতে পারবেন না ভোটার।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভূতুড়ে ভোটের ইস্যুতে একাধিক অভিযোগ করেছেন। তারপরই নেতাজি ইনডোরের সভা থেকে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। সেই নির্দেশের পর তাঁরই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে স্ক্রুটিনি শুরু করেছে তৃণমূল। যদিও বিজেপির দাবি, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে বহু বিরোধী দলের নেতার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে এই কাজ শুরু করেছে তৃণমূল। শাসক দলের পাল্টা কর্মসূচি শুরু করে বিজেপি বলছে, গত লোকসভা নির্বাচনে একাধিক বিধানসভায় আশানুরূপ ফল করেনি তৃণমূল। সেই কারণেই ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে স্ক্রুটিনি শুরু করে ভোটার ছেঁকে নেওয়ার চেষ্টা করছে তাঁরা।