আদালতের এই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য আইনি পদক্ষেপ নেবে। ইতিমধ্যে সেই প্রস্তুতি ও বিশ্লেষণ চলছে বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
কুণাল ঘোষ।
শেষ আপডেট: 17 June 2025 15:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ওবিসি (OBC Case) নিয়ে রাজ্যের তৈরি করা তালিকায় সোমবার অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। মঙ্গলবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এবং তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।
আদালতের এই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য আইনি পদক্ষেপ নেবে। ইতিমধ্যে সেই প্রস্তুতি ও বিশ্লেষণ চলছে বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। একই সঙ্গে রায় প্রসঙ্গে সরাসরি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মান্থার নামোল্লেখ করে তাঁর নিরপেক্ষতা নিয়েই বড় প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল।
এদিন এক ভিডিও বার্তায় তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, বিচারব্যবস্থার প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে,বিচারপতিদের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। তবু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে একথা বলতে হচ্ছে যে বিচারপতি মান্থা অতীতেও এমন কিছু রায় বা পর্যবেক্ষণ দিযেছেন যাতে সকলে ন্যায়বিচার দেখতে পাননি। বর তাঁর মধ্যে এমন কিছু উপাদান ছিল যাতে শুভেন্দুবাবু প্রোটেকশন পেয়েছেন, রসদ পেয়েছেন এবং দুঃখজনকভাবে আজকের রায়ে বিচারপতির মান্থার নাম যুক্ত রয়েছে।"
কেন একথা বলছেন, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন কুণাল। তৃণমূল নেতার কথায়, অতীতে দেখেছি ,সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতি অবসর নেওয়ার পরই তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠানো হচ্ছে, হাইকোর্টে অভিজিছ গঙ্গোপাধ্যায়কে দেখা গেছে চাকরি চলাকালীন ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে চলে গেলেন! অর্থাৎ আমরা বিচার ব্যবস্থাকে সম্মান করতে চাইলেও কয়েকজন বিচারপতির অর্ডার বা পর্যবেক্ষণ বিজেপি বা শুভেন্দুদের রাজনীতি করার রসদ জুগিয়ে দিচ্ছে। তাই এই মামলায় আমরা আইনি পদক্ষেপ করব।"
তৃণমূলের অভিযোগ, ওবিসি সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যের কয়েক লক্ষ চাকরি আটকে আছে, তাই এ ব্যাপারে বিজেপি পরিকল্পিতভাবে আইনি জটিলতা তৈরি করে বাংলায় অচলাবস্থা তৈরি করতে চাইছে।
ওবিসি নিয়ে সম্প্রতি ১৪০টি জনজাতিকে নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রাজ্য। এ নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সেই বিজ্ঞপ্তিতেই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এ ব্যাপারে বিজেপিকেও একহাত নিয়েছেন কুণাল। তাঁর কথায়, "বিজেপি ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অ্যান্টি ওবিসি অর্থাৎ আর্থ সামাজিক দিক থেকে যাঁরা পিছিয়ে রয়েছেন যাঁদের ওবিসি অন্তর্ভুক্ত হওয়া প্রয়োজন, তাঁদের বিপদে ফেলায় এদের লক্ষ্য। তারা গোটা বিষয়টার সঙ্গে ধর্ম জড়িয়ে বিকৃত করে মূল সমস্যাটা থেকে মানুষের নজর ঘোরাতে চাইছেন।"