শেষ আপডেট: 23rd September 2024 11:31
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসক ধর্ষণ-খুন মামলার তদন্তে পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষকে তলব করেছিল সিবিআই। সেই তলবে সাড়া দিয়ে সোমবার সকালে সিজিও কমপ্লেক্সে যান বিধায়ক। সিবিআই দফতরে ঢোকার আগে সংবাদমাধ্যমে নির্মল ঘোষ জানিয়েছেন, তাঁর কিছু নথি জমা দেওয়ার আগে সেই কারণেই তিনি এসেছেন। পাশাপাশি সিবিআই অফিসারদের সঙ্গে তাঁর কথাও হয়েছে।
গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের চারতলার সেমিনার হল থেকে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। সিবিআই সূত্রের খবর, ওই দিন হাসপাতালে গেছিলেন নির্মল ঘোষ। শুধু তাই নয়, তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সঙ্গেও তাঁর কথা হয়েছিল। সিবিআই সূত্রে এও জানা গেছে, শুধু হাসপাতালে নয়, নির্মল ঘোষকে পরবর্তী সময়ে হাসপাতালের মর্গ এবং পরে শ্মশান চত্বরেও দেখা যায়। সেই প্রেক্ষিতেই তাঁকে তলব করে বয়ান রেকর্ড করেছে সিবিআই।
আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতা যে এলাকার বাসিন্দা ছিলেন, সেখানকারই বিধায়ক নির্মল ঘোষ। হাসপাতাল থেকে দেহ উদ্ধারের পর নির্যাতিতার বাবা-মার সঙ্গেই তিনি আরজি করে গিয়েছিলেন বলে খবর। সিবিআই তদন্তে উঠে এসেছে, নির্যাতিতার দেহ সৎকারে নির্মল ঘোষ কিছুটা তৎপরতা দেখিয়েছিলেন। কিন্তু কেন, এই প্রশ্নের উত্তর পেতেই তাঁকে তলব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কেন তিনি ঘটনার দিন হাসপাতালে গেছিলেন, কে তাঁকে যেতে বলেছিল, সেই প্রশ্নের উত্তর পেতে মরিয়া সিবিআই।
হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল ইতিমধ্যেই ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁরা এখন সিবিআই হেফাজতেই। এরই মধ্যে নির্যাতিতার এলাকার বিধায়ক সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিলেন। ইতিমধ্যেই আরজি কর কাণ্ডে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন হাসপাতালের ফরেন্সিক মেডিসিনের প্রফেসর অপূর্ব বিশ্বাস। তাঁর অভিযোগ, ময়নাতদন্ত করার ক্ষেত্রে চাপ দেওয়া হয়েছিল। ঘটনার রাতের মধ্যেই যদি ময়নাতদন্ত না হয় তাহলে রক্ত গঙ্গা বইয়ে দেওয়ারও হুমকি দেন কোনও এক প্রাক্তন কাউন্সিলর।
রবিবার চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাসকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। ৯ অগস্ট আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যে তিনজন ডাক্তার ময়নাতদন্ত করেছিলেন, তাঁদেরই একজন অপূর্ব। তাঁর দাবি, ঘটনার দিন মেয়ের কাকা পরিচয়ের একজন, নট ব্লাড রিলেটেড, বলেছিলেন ওই দিনই তাড়াতাড়ি যেন ময়নাতদন্ত করা হয়।