শেষ আপডেট: 3rd February 2025 18:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সরস্বতী পুজো বাঙালির কাছে প্রেমের দিন। স্কুল-কলেজগুলিতে পড়ুয়াদের ভিড় দেখা যায় পাঞ্জাবি-শাড়ি পরে। অনেকেই এই দিনটিতে প্রথম শাড়ি বা পাঞ্জাবি পরে। তবে বাগদেবীর আরাধনা মানে আরও একটি জিনিস, তা হল বই। ঠাকুরের পাশে বই রাখাটা যেন নিয়ম। বিদ্যার দেবী তাই বইয়ের সঙ্গে সংযোগ তো থাকবেই। কিন্তু তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী সেই জিনিসটিই খুঁজে পেলেন না বহু নিমন্ত্রণ বাড়ি গিয়েও। সোশ্যাল মাধ্যমে দুঃখপ্রকাশ করলেন তিনি।
এটা ডিজিটালের যুগ। বইয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ যে আগের থেকে কমেছে তা বললে ক্ষতি হবে না। কিন্তু সেই প্রভাব কতটা, সেটাই হয়তো বুঝেছেন মনোরঞ্জন। তিনি জানিয়েছেন, 'একটাও এমন অনুষ্ঠান বাড়ি দেখলাম না যেখানে বই আছে।' তাই পুজো উদ্যোক্তদের বিশেষ পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। কী বলেছেন?
তৃণমূল বিধায়ক নিজের ফেসবুক পোস্টের লিখেছেন, ''বিধায়ক বলে কথা। এলাকার পুজোয় মানুষ ডাকলেই যেতে হবে, না গেলে নানা রকম কথা হবে। তা অনেককটা পুজোতে গেলাম, প্রসাদ খেলাম। তবে একটাও এমন অনুষ্ঠান বাড়ি দেখলাম না যেখানে বই আছে। আড়ম্বর অনেক আছে, নেই শুধু বই।'' তিনি জানিয়েছেন, পুজো দেখতে গিয়ে জিজ্ঞেস করেছেন যে, বাড়িতে লাইব্রেরী কোথায়, সেখানে কটা বই আছে? জানান, তাঁর প্রশ্নে বিব্রত হয়েছেন সকলে।
এই প্রসঙ্গেই তাঁদের পরামর্শ দিয়েছেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী। বলেছেন, ''পরের বছর আমাকে যদি ডাকেন তাহলে অন্ততপক্ষে পুজোর খরচা কমিয়ে ১০ শতাংশ টাকায় যেন বই কেনেন।'' বিধায়কের কথায়, যতই কেউ সরস্বতী পুজো করুন, অঞ্জলি দিন, উপোস থাকুন আর প্রচুর লোককে ডেকে এনে খাওয়ান। ঘরে যদি বই না থাকে, কেউ বই না পড়েন, তাহলে সব পুজোই বেকার।
তৃণমূল বিধায়কের পর্যবেক্ষণ, এমন কয়েকটি পুজোয় তিনি গেছেন যেখানের আয়োজন বিয়ে বাড়িকেও হার মানায়। মাছ, মাংস না থাকলেও নিরামিষ পদের বাহার দেখলে চোখ ভরে যাবে! অর্থাৎ শুধুই আড়ম্বর, জাঁকজমক। আসল জিনিসের প্রতিই কারও নজর নেই। বই...