শেষ আপডেট: 30th November 2024 16:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর শো-কজ নোটিসের জবাব দিয়েছিলেন। কিন্তু নিজের অবস্থান থেকে যে তিনি আগেও সরে আসেননি, এখনও আসবেন না, সেটা আবার বুঝিয়ে দিলেন। শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কার্যত ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। হুমায়ুনের স্পষ্ট কথা, 'আমি কারও তল্পিবাহক হয়ে থাকব না'।
কসবার গুলি কাণ্ডের পর রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপ মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি জানিয়েছিলেন হুমায়ুন। একই সঙ্গে দলের একাংশ নেতার বিরুদ্ধেও প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন। তারপরই তাঁকে শো-কজ করা হয় দলের তরফে। কিন্তু তারপরও চুপ থাকেননি হুমায়ুন। স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, "রাজনীতির ময়দানে কাউকে ভয় করি না।" তবে পরবর্তী সময়ে শো-কজের জবাব দিয়েছিলেন। কিন্তু নিজের অবস্থানে তিনি এখনও অনড়।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শনিবার তিনি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব সম্পর্কে বলেন, "যারা জেলা সভাপতি হয়ে, যারা চেয়ারম্যান হয়ে বসে আছে, তারা কদিন কোন বুথের খোঁজ রাখে? শুধু হোয়াটসঅ্যাপে এবং ফেসবুকে উল্টোপাল্টা কমেন্ট করে। তাদের আবার কিছু চামচাও আছে। তারা মনে করে দলের হিরো হয়ে বসে থাকব। কিন্তু আমি কারও তল্পিবাহক হয়ে চলিনি, চলব না।" পাশাপাশি হুমায়ন এও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে নির্দেশ তাঁকে দিয়েছেন তা তিনি মেনে চলবেন। কারণ দলের ওপর, দলনেত্রীর ওপর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর তাঁর ভরসা আছে।
শো-কজের পরও নিজের বক্তব্যে অনড় থেকে হুমায়ুন বলেছিলেন, "হক কথা বলার জন্য দল শোকজ করলে করবে! এর আগে তো ২০১৫ সালে আমাকে বিনা নোটিসে ৬ বছরের জন্য শোকজ করে দেওয়া হয়েছিল। এবারে তবু নোটিস দেওয়া হয়েছে। তাতে গর্ব অনুভব করছি।" নোটিসের জবাব দেওয়ার পরও তাঁর বক্তব্যে সেই ঝাঁজ লক্ষ্য করা গেছে। তাঁর কথা, ১ পাতার নোটিসের জবাবে ৩ পাতার জবাব দিয়েছেন তিনি। বল এখন দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির হাতে।
এরই মধ্যে জেলা নেতৃত্বকে আবারও নিশানা করে হুমায়ুন বলেছেন, "আমি দিশাহীন হয়ে গেছি। জেলায় যারা সাংগঠনিক পদে রয়েছে তাঁদের কী কাজ, সেটা আমি বিধায়ক হয়েও বুঝিনি। তৃণমূলের জেলা পার্টি অফিসে সেখানে কী কাজ হয়, কোন গ্রামের মানুষ এসে পরিষেবা পায়, কোনও কিছু নেই। অথচ তাঁরা ক্ষমতা ব্যবহার করে পদে রয়েছে।" এই প্রেক্ষিতেই তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্য, শো-কজের জবাব দিয়েছেন তবে তাঁর মনে হয় ওটুকু বলার অধিকার আছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের মান্যতা তিনি দেবেন।