কুণাল ঘোষ ও আন্দোলনকারীদের ছবি
শেষ আপডেট: 18th September 2024 13:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ফের আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের। বুধবার সকালে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে কুণালের অভিযোগ, কর্মবিরতিতে থাকা জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা সরকার নেবে না বলে আগেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তারপরেও আন্দোলনকারীদের চাপে আরজি করে ৫১ জন-সহ একাধিক প্রতিষ্ঠানে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
বুধবার সকালে আন্দোলনকারীদের কোর্টে বল ঠেলে কুণালের দাবি, 'কারও বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনও প্রমাণ থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হোক। কিন্তু পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে আন্দোলনকারীরা বহু জুনিয়র ডাক্তারদের (যাঁদের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগাযোগ নেই) হাসপাতালে ঢুকতেই বাধা দিচ্ছেন। এটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।'
তৃণমূল নেতা প্রশ্ন তোলেন, 'যাঁদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না তাঁরাও মেধাবী। কিন্তু আন্দোলনকারীরা এমন পদক্ষেপ নিলে এই ছেলেমেয়েরা যাবে কোথায়? কীভাবে পড়বে? কীভাবে কাজ করবে?'
অবিলম্বে নজর দেওয়া দরকার। pic.twitter.com/zwPqIHmpGI
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) September 17, 2024
একই সঙ্গে কুণালের অভিযোগ, আন্দোলনকারীদের যেসব জুনিয়র ডাক্তারদের উপর রাগ রয়েছে, তাঁদের সঙ্গেই এমন করা হচ্ছে। জোর করে তাঁদের গায়ে রাজনীতির তকমা লাগিয়ে আরজি কর-সহ বিভিন্ন হাসপাতালে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এটা চরম আপত্তিকর।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কালীঘাটের বাড়িতে বৈঠকের পরও মেলেনি সমাধানসূত্র। নিজেদের একাধিক দাবিদাওয়া সামনে রেখে নতুন করে রাজ্যের সঙ্গে দর কষাকষিতে নেমে পড়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মঙ্গলবার মধ্যরাতের সাংবাদিক বৈঠক থেকে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন, রোগী ও চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা-সহ একাধিক দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি তুলেছেন।
অন্যদিকে অচলাবস্থা কাটাতে সোমবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দীর্ঘ ম্যারাথন বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আন্দোলনকারীদের পাঁচটি দাবির মধ্যে চারটি মেনে নেওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন। আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে কলকাতার পুলিশ কমিশনার-সহ দুই শীর্ষ স্বাস্থ্যকর্তাকে বদলিও করেছেন। তারপরে অনেকেই মনে করেছিলেন আন্দোলনকারীরা এবার কাজে ফিরবেন। তবে বাস্তবে তা হয়নি। উল্টে আরও বেড়েছে আন্দোলনের ঝাঁঝ।
এবার কুণালের পোস্টের পাল্টা আন্দোলনকারীরা কী প্রতিক্রিয়া দেন সেদিকে নজর থাকবে।