বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে কুণাল ঘোষ এবং দেবাংশু ভট্টাচার্য - ছবি দেবাংশুর ফেসবুক পেজ
শেষ আপডেট: 21st September 2024 22:04
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পুজোর মুখে বন্যার কবলে পড়েছে রাজ্যের একাধিক জেলা। শনিবার এমনই কিছু এলাকা পরিদর্শনে গেছিলেন তৃণমূলের দুই নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য এবং কুণাল ঘোষ। দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করে, এলাকার পরিস্থিতি দেখেছেন তাঁরা। একই সঙ্গে বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি দেবাংশুরা। ফেসবুক পোস্ট করে যুবনেতা একহাত নিয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতিকে।
তমলুক এলাকার কিছু অঞ্চল পরিদর্শনে গেছিলেন কুণাল ঘোষ এবং দেবাংশু ভট্টাচার্য। সেখানকার কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে তৃণমূল যুবনেতা লেখেন, ''সারাদিন ঘুরে মানুষের মুখে মুখে একটা কথাই শুনলাম; আপনি হেরে গিয়েও এলেন! কিন্তু যিনি জিতেছেন তিনি কই?" চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনে এই তমলুকেই তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন দেবাংশু। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। জিতেছেন তিনিই। কিন্তু তৃণমূলের দাবি, বন্যার কবলে থাকা নিজের সংসদীয় এলাকায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বিজেপি সাংসদকে।
দেবাংশু লিখেছেন, ''তমলুক লোকসভার মানুষ হয়ত আমাকে জেতাননি, কিন্তু প্রায় ৭ লক্ষ ভোট দিয়েছেন; যা বিপুল! তাই একটা টান থেকেই যায়। সেখানকার কিছু অঞ্চল আজ আমি এবং কুনালদা ঘুরে এলাম। সাথে ছিলেন জেলার নেতৃত্বগণ। কথা বললাম অসহায় মানুষগুলোর সাথে। ঘুরে দেখলাম ত্রাণ শিবিরগুলিও। আমাদের তরফের সামান্য আয়োজন বিলিও করলাম।'' মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো আগেই এই পরিস্থিতির জন্য ডিভিসিকে দায়ী করেছেন। স্বাভাবিকভাবে দেবাংশুও বলেন, কোলাঘাট ব্লকের কিছু অঞ্চল কেন্দ্রের ডিভিসির ছাড়া জলে বিপর্যস্ত।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বন্যাকে 'ম্যান মেড' বলেছেন। ডিভিসি অপরিকল্পিতভাবে জল ছেড়ে বাংলাকে ডোবানোর চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ তোলেন। কেন্দ্রীয় সরকার সব জেনে পদক্ষেপ করছেন না বলেও ক্ষোভ উগরেছেন তিনি। সব বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন মমতা। তার প্রেক্ষিতে জবাব দিয়ে কেন্দ্র অবশ্য সাফ জানায়, ডিভিসি জল ছাড়ার আগে সমস্ত নিয়ম মেনে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছিল রাজ্য সরকারকে। মমতার বক্তব্য ছিল, ডিভিসির জলধারণ ক্ষমতা আগের থেকে ৩৬ শতাংশ কমে গেছে। ড্রেজিং না করার জন্যই এমন হয়েছে। ঝাড়খণ্ডকে বাঁচাতে বাংলাকে ভাসানোর চেষ্টা হচ্ছে।
এদিকে রাজ্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেছেন, বাঁধ থেকে যদি জল না ছাড়া হয় তবে বাঁধের ক্ষতি হয়ে যাবে। তাই ডিভিসির ওপর দোষ চাপানো যায় না। তাঁর এও দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে জেলাগুলির বন্যা পরিস্থিতির জন্য ডিভিসিকে দায়ী করছেন, সেই অঞ্চলগুলির তাদের অববাহিকার মধ্যেই পড়ে না! তাই রাজ্যপালের মত, ডিভিসির ওপর দোষ না চাপিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য রাজ্যের উচিত নিজের দায়িত্ব পালন করা।