শেষ আপডেট: 1st January 2025 22:57
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নতুন বছরের প্রথম দিনই ভাঙড়ে উত্তেজনা। তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের ওপর হামলা করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার নেপথ্যে আরেক তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লা রয়েছেন বলে দাবি করেছেন আরাবুল অনুগামীরা। তাঁর গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। দিন গড়াতেই শওকতের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করলেন প্রাক্তন বিধায়ক।
১ জানুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবস। যার ফলে নানা জায়গায় বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়েছে সকাল থেকে। স্থানীয় সূত্রে খবর, হাতিশালার ওয়াড়ি এলাকায় এক অনুষ্ঠানে দলীয় পতাকা তুলতে যাচ্ছিলেন আরাবুল। সেই সময়ই তাঁর গাড়িতে হামলা হয় বলে অভিযোগ। গাড়িতে ভাঙচুরের পাশাপাশি অকথ্য গালিগালাজও চলে। কংক্রিটের চাঙড় দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয় আরাবুলের অনুগামীর গাড়ি।
এই হামলার পরই দুই পক্ষ ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বচসা থেকে হাতাহাতি সবই হয়। এই অবস্থায় পরিস্থিতি সামলাতে এলাকায় আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও ব়্যাফ। তবে তাঁদের উপস্থিতিতেও প্রাথমিকভাবে অশান্তি না থামায় শুরু হয় লাঠিচার্জ। দীর্ঘক্ষণ পর অবশেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এবিষয়ে শওকত বলেন, 'যখন ঘটনাটা হয় আমি তখন ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ পার্টি অফিসের সামনে পতাকা উত্তোলন করছি। আমি যতটুকু শুনেছি আরাবুলের নেতৃত্বেও মারধর করা হয়। এক্ষেত্রে এই আক্রান্তরাও থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। আইন আইনের পথে চলবে। পুলিশ তদন্ত করুক। যদি আমি দোষী হই ব্যবস্থা নেবে। আসলে পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছেন আরাবুল।'
যদিও আরাবুলের দাবি, খবরের শিরোনামে আসতে চাইছেন শওকত মোল্লা। ক্যানিংকে শেষ করে ভাঙড়ে তৃণমূল শেষ করার কাজ চালাচ্ছেন। আজ মেশিনও ছিল কয়েকজনের হাতে। যেখানে ওঁ যাচ্ছেন সেখানে গণ্ডগোল হচ্ছে। শওকতের নির্দেশেই তাঁর ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। এতে আরাবুলের কিছু হবে না।
আইএসএফ কর্মীকে খুনের অভিযোগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভাঙড়ের দাপুটে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছিল উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ। ৭ মাস পর জেল থেকে মুক্তি পান তিনি। তবে তারপর ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজারে পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে ঢুকতে না পেরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।