শেষ আপডেট: 13th March 2025 20:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চার মাসে দু'বার। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ফের মুর্শিদাবাদের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে শো-কজ করল তৃণমূলের বিধানসভার পরিষদীয় কমিটি। একই সঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকেও এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী সতর্ক করার পরও শুভেন্দু ইস্যুতে কেন প্রকাশ্যে মন্তব্য করলেন, তার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে হুমায়ুনের কাছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাবদিহি করতে বলা হয়েছে। এর আগে গত ২৭ নভেম্বর দল বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে ভরতপুরের বিধায়ককে শো-কজ করেছিল তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে বুধবার বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ও সিদ্দিকুল্লা। ওই ঘটনায় দুজনকেই সতর্কও করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তারপরও নিজস্ব মেজাজে হুমায়ুন। গোটা ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েই বড় প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। একই সঙ্গে এও বলেন, 'দলের থেকে আমার কমিউনিটি আগে'!
এদিন হুমায়ুন বলেন, "শুভেন্দু অধিকারী এত বড় একটা কথা (ক্ষমতায় এলে তৃণমূলের মুসলিম বিধায়কদেরকে বিধানসভা থেকে ছুড়ে ফেলব) বলার পরও প্রশাসন চুপ। আমরা যখন কিছু বলি তখন প্রশাসন তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেয়। আর আজ প্রশাসন চুপ কেন? দলের থেকে আমার কমিউনিটি আগে, আমাদের কমিউনিটিতে এরকম কথা বললে আমরা ছেড়ে কথা বলব না।"
শুভেন্দুর হুঁশিয়ারির পর হুমায়ুনের পাশাপাশি সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীও আক্রমণ করেছিলেন বিরোধী দলনেতাকে। যার জেরে বুধবার বিধানসভার সচিবকে চিঠি দিয়ে নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। অধিবেশনেও ওই প্রসঙ্গটি উঠলে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছিলেন, এই ধরনের মন্তব্য না করার জন্য তিনি হুমায়ুন এবং সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে সতর্ক করেছেন। তারপরও হুমায়ুন নিজস্ব মেজাজে অনড় থাকায় দল তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করে কিনা, তা নিয়েও বিভিন্ন মহলে কৌতূহল তৈরি হয়েছিল। বাস্তবে হলও তাই। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হুমায়ুনকে জবাবদিহি করতে বলা হয়েছে।
সূত্রের খবর, হুমায়ুনকে শোকজ, সিদ্দিকুল্লাকে সতর্ক করার পাশাপাশি মন্ত্রিসভার বাকি সদস্যদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর সাবধানী পরামর্শ, 'কোনও ধরনের প্ররোচনায় পা দেবেন না, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করুন।'