কুণাল ঘোষ ও দিলীপ ঘোষ।
শেষ আপডেট: 13th November 2024 18:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো: উপ নির্বাচনে ৬টি আসনেই তৃণমূল জয়ী হবে। ভোট মিটতেই জোর গলায় জানিয়ে দিল শাসকদল। 'বিরোধীরা গো হারান হারবে' দাবি করে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, 'নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা! নিজেরাই ফলস ভোট দিতে গিয়ে ধরা পড়েছে!'
বিজেপির মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যর অবশ্য অভিযোগ, "ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। বাহিনীকে কাজ করতে দেওয়া হয়নি।"
বুধবার রাজ্যের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপ নির্বাচন ছিল। এগুলি হল- মেদিনীপুর, তালডাংরা, নৈহাটি, হাড়োয়া, সীতাই এবং মাদারিহাট। মাদারিহাট বাদে বাকি পাঁচটি বিধানসভায় গতবারে তৃণমূলের দখলে ছিল। শাসকদলের দাবি, পাঁচ নয়, ৬টি আসনেই জিতবে তৃণমূলের প্রার্থীরা।
প্রসঙ্গত, বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ৬টি আসনে গড় ভোটের হার প্রায় ৭০ শতাংশ। সর্বশেষ ভোটের হার আরও কিছুটা বাড়বে। সেদিক থেকে উপ নির্বাচনের নিরিখে ভোটের এই হার যথেষ্ট বেশি বলেই মনে করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে কুণাল বলেন, "ভোটের আগে বাহিনী চায় বলে চিৎকার করছিল। কিন্তু দেখা গেল, ২০২১ সালে যারা বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল তাদেরও অনেকে এবারে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। ফলে দেউলিয়া অবস্থা হয়ে গেছে। তাই এখন আবার কাঁদছে কেন্দ্রীয় বাহিনী কী করল। ওরা যেভাবে কুৎসা করছে, তাতে তো কেন্দ্রীয় বাহিনীকে এবার বুথে ঢুকে বিজেপির হয়ে ভোট দিয়ে আসতে হবে!"
মিডিয়ার একাংশকেও আক্রমণ করেছেন কুণাল। তাঁর কথায়, "মিডিয়ার একাংশ তো বিরোধীদের হয়ে স্পনসরশিপ করছে। তবু ৬টার মধ্যে একটা সিটেও কি জেতাতে পারবেন? মিলিয়ে দেখে নিন! রেজাল্টের দিন দুপুরের পর কথা হবে!"
এদিন ভোটগ্রহণ পর্ব চলাকালীন মেদিনীপুর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূলের দুই কাউন্সিলর। এ প্রসঙ্গে কুণালের ব্যাখ্যা, "আরে তৃণমূল এত বড় দল। কারও সঙ্গে কারও মতান্তর থাকতে পারে। তবে সবাই তো প্রার্থীকে জেতাতেই লড়ছে!"
এ প্রসঙ্গেই মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষের প্রসঙ্গ টেনে কুণালের টিপ্পনি, "তৃণমূলের কোন্দল নিয়ে না ভেবে বিজেপিকে বরং নিজেদের দলের কথা ভাবতে বলুন! মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষকে যেভাবে বাক্স প্যাঁটরা গুটিয়ে বান্ডিল করে দুর্গাপুরে হারতে পাঠিয়েছিল, সেখানে বিজেপি আগে নিজেদের গোলমাল ঠেকাক!"