শেষ আপডেট: 25th September 2023 12:30
স্বপ্নের স্পেল তিতাসের। এশিয়ান গেমসের (Asian Games) মতো মঞ্চে ফাইনাল ম্যাচে তিতাস সাধুর (Titas Sadhu) বোলিং দেখে অনেকেই হয়তো অবাক হয়েছেন। কিন্তু বিশ্বাস করুন, আমি এতটুকু অবাক হইনি। এক ম্যাচ আগেই ভারতীয় সিনিয়র দলের হয়ে অভিষেক হয়েছে, তারপরে যে বোলিংটা করল ব্যান্ডেলের মেয়েটি, আমি অভিভূত।
সব থেকে বড় কথা, দলের অধিনায়িকা হরমনপ্রীতের ভরসা আদায় করে নিতে পেরেছে। না হলে ম্যাচের তিন ওভারের মাথায় তিতাসের হাতে বল তুলে দিত না দলের নেত্রী। এটা থেকেই বোঝা যায়, তিতাসের ওপর অগাধ আস্থা ছিল দলের।
প্রথম ম্যাচেই বোলিংয়ে দাগ কেটেছিল। তারপর ফাইনালে তিন উইকেট, তাও ছয় রানে, তার মধ্যে একটি মেডেন ওভার। আমি আগেই তিতাসের দক্ষতা সম্পর্কে সচেতন ছিলাম। সেই মতো বাংলার নির্বাচকদের বলেছিলাম, এই মেয়েটির দিকে নজর রাখুন। তিতাস চমক দেখাবে। আমি নিজে একজন পেসার, তাই জানি মানসিকভাবে কিভাবে চাপে রাখতে হয় বিপক্ষকে, সেটা ও জানে।
তিতাস দুই দিকেই বল সুইং করাতে পারে। শ্রীলঙ্কার প্রথম তিনটি উইকেট নিয়েছে নিয়ন্ত্রিত পেসে। শেষ শিকারে আবার প্রতিপক্ষের উইকেট উপড়ে দিয়েছে। আমার মুখ থেকে শুধু একটা কথাই বেরিয়ে এসেছে, দারুণ, ওয়েলডান তিতাস। তুই আরও স্বপ্ন দেখাবি দেশকে।
হরমনপ্রীতের নেতৃত্বে ভারতীয় দল ফাইনালে গিয়ে কোনও কারণে সফল হতে পারছিল না। সেই ব্যর্থতা কেটে সাফল্যের রোদ্দুর উঠল চিনের আকাশে। এশিয়ান গেমসের মতো বড় মঞ্চে এই জয় মানসিকভাবে এগিয়ে রাখবে দলের মেয়েদের। দেশকে সোনা এনে দিয়েছে, এর চেয়ে বড় ঘটনা আর কীই বা হতে পারে।
কপিলকে হাত বেঁধে নিয়ে যাচ্ছে আততায়ীরা! গম্ভীর টুইট করে বললেন, ভয় পাবেন না