শেষ আপডেট: 1st July 2022 09:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এমন পরিস্থিতির শিকার এর আগে কোনওবার হয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা (Bangladesh Atlantic)। আটলান্টিক মহাসাগরের বুকে তাঁরা অসহায়বোধ করছিলেন। কেউ তার মধ্যে বমি করছিলেন, কারোর বা শরীর এলিয়ে গিয়েছে। কারোর চোখে জলও। তাঁরা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি এমন হতে পারে।
সেন্ট লুসিয়া থেকে মার্টিনেক হয়ে ডোমিনিকা। সব মিলিয়ে দীর্ঘ ৫ ঘণ্টার ভ্রমণ। সমুদ্র পার হতে হবে ফেরি সার্ভিসে। শুরুতে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা বেশ উপভোগ করছিলেন উত্তাল সমুদ্র। তাঁরা নিজেদের মধ্যে রীতিমতো গল্প করছিলেন।
ডায়মন্ড লিগে জাতীয় রেকর্ড গড়লেন নীরজ! কাটল পদক ‘খরা’
যত সময় গড়াতে থাকে, সেইসময় ফেরির দুলুনিও বাড়তে থাকে। বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম, উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান, টি ২০ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ম্যানেজার নাফিস ইকবাল এবং সাপোর্ট স্টাফের এক সদস্য ‘মোশন সিকনেসে’ আক্রান্ত হন।
তাদের কয়েকজন বমিও করেন এসময়। কয়েকজন ভীষণ অসুস্থ হয়ে শুয়ে পড়েন ফ্লোরেই। দেড় ঘণ্টা ফেরিতে কাটানোর পর মার্টিনেক নামক দ্বীপে যাত্রা বিরতি ছিল। কয়েকজন ক্রিকেটার অনুরোধ করেন, তাদের যেন সেখান থেকে বিমানের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু যাত্রার মাঝপথে বিরতি দিলেও বিমানের টিকিট জোগাড় করা সম্ভব হয়নি। ফলে বাকি পথও ফেরিতেই পাড়ি দিতে হয়েছে ক্রিকেটারদের।
সাগর কিছুটা শান্ত হলে ক্রিকেটাররাও পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেন অনেকটাই। যদিও তাঁদের মনের ভয় দূর হয়নি এখনও।