প্রতীকী ছবি
শেষ আপডেট: 3 March 2025 13:06
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কলকাতার ট্যাংরার ঘটনায় তোলপাড় হয়েছে রাজ্য। এবার উত্তরবঙ্গেও প্রায় একই ধরনের ঘটনা। একটি আবাসনের ঘর থেকে একই পরিবারের তিনজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটের এই ঘটনা এখন ফের চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্যে। স্থানীয় সূত্রে খবর, যে আবাসন থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে তা জলদাপাড়ার বন বিভাগের সরকারি আবাসন। তার একটি ঘর থেকে মিলেছে এক যুবকের দেহ। অন্য একটি ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে এক প্রৌঢ়া এবং এক শিশুর দেহ। এটি খুন না আত্মহত্যার ঘটনা, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের মাহুতের পরিবারের তিনজনের সদস্য বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানতে পেরেছে, মাদারিহাট রেঞ্জ কার্যালয়ে সামনে মাহুত বিনোধ ওরাঁও-এর আবাসন এটি। সেখান থেকেই বিনোধের ভাই রবী ওঁরাও-এর ঝুলন্ত দেহ ও বিনোধের মা বিবি লোহার ও ১৩ বছরের ছেলের বিবেক ওঁরাও-এর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জেনেছে ওই যুবক বেকার ছিলেন। তাঁর বাবা বন বিভাগে কাজ করতেন। সেই সূত্রে তিনি ওই আবাসনে থাকতেন।
মৃত যুবকের এক আত্মীয় পুলিশকে জানিয়েছেন, রবিবার রাতে তিনি ওই আবাসনেই ছিলেন। একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়াও করেন। তবে ভোরের দিকে নিজের বাড়ি চলে আসেন। পরে সোমবার বেলার দিকে স্ত্রীর থেকে এই খবর পান তিনি। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এক্ষেত্রে ওই আত্মীয় কতটা সত্যি কথা বলছেন তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে তাঁদের।
ট্যাংরা কাণ্ডে পরিবারের তিন সদস্যকে খুনের অভিযোগ উঠেছে পরিবারেরই ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে। স্ত্রী, বৌদি এবং মেয়েকে খুন করার পর দাদা এবং ভাইপোকে নিয়ে তিনি বেরিয়ে গেছিলেন গাড়ি নিয়ে। পরে পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন সকলে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদেই আসল সত্যিটা সামনে আসে।