শেষ আপডেট: 11th July 2024 18:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো: 'ক্লাবঘরের মধ্যে এক তরুণীর হাত এবং পা ধরে চ্যাংদোলা করে ঝুলিয়ে মার' কামারহাটির ভাইরাল ভিডিওর ঘটনায় বুধবারই জেলবন্দি জয়ন্ত সিংকে ফের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তারপরই গভীর রাতে হুমকি ফোন পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন দমদমের বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ বলেন, "গভীর রাতে ফোন আসে। ধরতেই ওপাশ থেকে খুব খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। হিন্দিতে বলে, তুই জয়ন্ত সিংকে না ছাড়ালে গুলি করব।"
পুলিশকে জানিয়েছেন? জবাবে পুলিশের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন দমদমের চারবারের সাংসদ। সৌগত বলেন, "পুলিশের হাতে তো কড়া আইন রয়েছে, সেগুলো প্রয়োগ করলেই তো গুন্ডারা শায়েস্তা হয়।"
কয়েকদিন আগে এই জয়ন্ত সিং প্রসঙ্গেই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা এবং সৌগত রায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। 'জয়ন্ত তাঁর ঘনিষ্ঠ' এই অভিযোগ উড়িয়ে মদন বলেছিলেন, "এরকম গুন্ডামি দেখলে পুলিশকে ফোন করলে পুলিশ বলে সৌগত রায়কে বলুন। ওনাকে (সৌগত রায়) বার বার বলেওছি, উনি বলেছেন দেখছি।’’ মদনের অভিযোগ, তাতে সমস্যার সমাধান হয়নি, বরং তাঁর নিজেরই প্রাণ সংশয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
তৃণমূলের 'কালারফুল বয়' এও বলেছিলেন, "পুলিশ মারতে পারে, রাখতেও পারে। পুলিশ পারে না, এমন কোনও কাজ নেই।"
এবার পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে সৌগত রায়ও সরব হওয়ায় শোরগোল তৈরি হয়েছে স্থানীয় রাজনীতিতে। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, জয়ন্তকে পুলিশ নতুন করে হেফাজতে নিতেই নিজেদের দায় ঝেড়ে ফেলতে পুলিশের ঘাড়েই দোষ চাপাচ্ছেন সৌগত, মদনরা। পুলিশ জানিয়েছে, সৌগত রায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে হুমকি ফোনের বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত, সোমবার সন্ধে থেকে সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল ১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও (দ্য ওয়াল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি)। তাতে দেখা যাচ্ছে, একটি ক্লাবঘরের মধ্যে এক তরুণীর হাত এবং পা ধরে রেখেছেন কয়েকজন। চ্যাংদোলা করে ঝুলিয়ে রাখা অবস্থাতেই লাঠিপেটা করা হচ্ছে! ভাইরাল ওই ভিডিওর বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।