ফাইল ছবি।
শেষ আপডেট: 21 December 2024 16:51
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ফোনের কুপ্রস্তাব শুনে প্রতিবাদ করেছিলেন মহিলা আইনজীবী। ওপাশ থেকে হুমকি এসেছিল, বেশি বাড়াবাড়ি করলে ফোন নম্বর পর্ন সাইটে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
অভিযোগ, পুলিশ এফআইআর নেয়নি। উল্টে ওই হুমকির পর থেকেই মহিলার কাছে দিন রাত অজানা নম্বর থেকে ফোন আসতে শুরু করে। খোঁজ নিয়ে মহিলা আইনজীবী জানতে পারেন, ট্রেনে, বাসে, লঞ্চে নাকি তাঁর মোবাইল নম্বর ছেয়ে গেছে!
ওই মামলাতেই শনিবার কলকাতা হাইকোর্টের চরম ভর্ৎসনার মুখে পড়ল পুলিশ। একই সঙ্গে রাজ্যের থানাগুলির সাইবার ক্রাইমের পরিকাঠামো এবং অফিসারদের কী ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, এ ব্যাপারে পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্ট তলব করেছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। লালবাজারের সাইবার শাখাকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশও দিয়েছে আদালত।
আদালত সূত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত চলতি বছরের মার্চ মাসে। রাজেশ সাধুখাঁ নামে এক ব্যক্তি ওই আইনজীবীর মোবাইল নম্বরে ফোন করে তাঁকে কুপ্রস্তাব দেয় বলে অভিযোগ। পাল্টা বিষয়টি পুলিশে জানানোর কথা বললে ওই ব্যক্তি তখন গালাগাল দিয়ে বলে, ‘তোমার মোবাইল নম্বর পর্নোগ্রাফি সাইটে দিয়ে দেব। ট্রেনে, বাসে, ছড়িয়ে দেব তোমার নম্বর।’
অভিযোগ তার কিছুদিন পর থেকেই বিভিন্ন নম্বর থেকে ওই মহিলা আইনজীবীর ফোনে একাধিক ফোন আসতে থাকে ও তাঁকে নোংরা প্রস্তাব দেওয়া হয়। অভিযোগ, ফোনের ওপার থেকে তাঁকে জানানো হয় কেউ ট্রেন থেকে কেউ বা বাস আবার কেউ ফেরিঘাট থেকে তাঁর নম্বর পেয়েছেন। সমস্তটা পুলিশকে জানালেও কোনও সুরাহা না হওয়ায় বাধ্য হয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আইনজীবী।
হাওড়ার নিশ্চিন্দা থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই মহিলা আইনজীবী। অভিযোগ, থানায় গেলে ডিউটি অফিসার তাঁকে ‘এরকম লাখ লাখ কল আসে। আমরা কত জনের পিছনে ছুটব?’ জানিয়ে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন। থানার আইসি-র কাছে গেলেও একই অভিজ্ঞতা হয় আইনজীবীর। অভিযোগ, খোদ আইসি তাঁকে বলেন, ‘থ্রেটনিংয়ের কোনও কমপ্লেন রেজিস্ট্রার হয় না।’ ওই মামলাতেই এদিন আদালতের প্রশ্নের মুুখে পড়ে পুলিশ।