প্রতিবছর ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন মাছের প্রজনন কাল। এই সময় নদী ও সমুদ্রে মাছ ধরার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকে।
গ্রাফিক্স-শুভ্র শর্ভিন।
শেষ আপডেট: 14 June 2025 10:54
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রস্তুতি পর্ব শেষ। ইতিমধ্যে বঙ্গোপসাগরের কাছাকাছি জি-প্লটের ঘাটে পৌঁছে গিয়েছে কয়েক হাজার ট্রলার। সব কিছু ঠিক থাকলে আজ শনিবার রাতেই ইলিশের (Hilsa.) খোঁজে সুন্দরবন থেকে গভীর সমুদ্রে রওনা দেবে ট্রলারগুলি (Thousands of trawlers)।
কাকদ্বীপ ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি জানান, "এবারে প্রথম পর্যায়ে ৪০ শতাংশ ট্রলার ইলিশ ধরার উদ্দেশে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিচ্ছে। ভাল পরিমাণ মাছ উঠলে পরে বাকি ট্রলারগুলিও পাঠানো হবে।’
প্রতিবছর ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন মাছের প্রজনন কাল। এই সময় নদী ও সমুদ্রে মাছ ধরার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকে। সরকারিভাবে চালানো হয় নজরদারিও। শনিবার সেই সময়সীমায়া শেষ হচ্ছে। তারপরই মধ্যরাতে গভীর সমুদ্রের উদ্দেশে রওনা দেবে ট্রলারগুলি।
মৎস্যজীবীদের আশা, গত তিন বছরের তুলনায় এবারে বেশি পরিমাণ রূপোলী শস্য মিলতে পারে। তাঁদের কথায, অতীতে আবহাওয়া অনুকুল না থাকায় গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার ক্ষেত্রে একাধিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। ফলে সেই অর্থে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশের দেখা মেলেনি। এবারে সেই তুলনায় আবহাওয়া বেশ ভাল। ফলে অন্যান্যবারের তুলনায় এবারে বেশি মাছের আশা করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে ট্রলারগুলি সংস্কার করে পর্যাপ্ত পরিমাণ ডিজেল, খাদ্য এবং মাছ ধরার জাল পরিপাটি করে গুছিয়ে ফেলেছেন মৎস্যজীবীরা। শনিবারে সূর্য পাটে যাওয়ার পর অপেক্ষা মধ্যরাতের। তারপরই গভীরসমুদ্রের উদ্দেশে রওনা দেবেন তাঁরা।